বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মধ্যরাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাহ্ মাখদুম হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধর করে মানিব্যাগ থেকে জোর পূর্বক টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অত্র হল ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় হলটির ২১৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। প্রাণনাশের হুমকির প্রেক্ষিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এসব কথা উল্লেখ করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আমি মোঃ সামিউল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে অভিযুক্ত ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী তাজবিউল হাসান অপূর্ব। তিনি শাহ্ মখদুম হল ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন, ২১৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও রাত ১১টার দিকে অত্র হলের সভাপতি তাজবিউল হাসান অপূর্ব ও তার অনুসারীরা তার রুমে প্রবেশ করে সিটের জন্য ১০,০০০ হাজার টাকা দাবি করে এবং তাৎক্ষনিকভাবে সেই টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে ম্যানিব্যাগ থেকে জোরপূর্বক ৩৭৭৫ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং বাসা থেকে বাকী টাকা দ্রুত আনতে বলা হয়।
একপর্যায়ে হল সভাপতি অপূর্ব বলেন এই সিটে থাকতে হলে বাকী টাকা আজকেই দিতে হবে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমার বাবা মায়ের নাম তুলে গালিগালাজ করতে থাকে এবং উত্তেজিত হয়ে অপূর্ব আমার গায়ে হাত তুলে। তার অনুসারীরা আমাকে মেঝেতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল,ঘুসি মারতে থাকে। আগামীকালের (২০ জানুয়ারি) মধ্যে বাকী টাকা দিতে না পারলে হল থেকে চলে যেতে হবে বলে জানান তারা। এসব বিষয় কাউকে জানালে 'তোর লাশও তোর পরিবার খুঁজে পাবে না বলে হুমকি দেয়'।
এর আগেও হল সভাপতি অপূর্ব ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রুমে থাকার জন্য ৩০০০ টাকা চাপ প্রয়োগ করে নিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সামিউল।
তবে বিষয়টিকে অস্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান অপূর্ব বলেন, কালকে রাতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই শিক্ষার্থীর (ভুক্তভোগী) রুম একচেঞ্জ করার কথা ছিলো কিন্তু করেনি। এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়। টাকা ছিনিয়ে নেওয়া ও হুমকির বিষয়টিও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, এ বিষয়ে শুনে আমি খোঁজ খবর নিয়েছি। আমার মনে হয়েছে তাকে জোর করে কেউ লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। তবুও যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আমরা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।
বিষয়টি নিয়ে শাহ মাখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন বলেন, আমরা বিষয়টা জেনে দুজনকেই ডেকেছি৷ তাদের কথা শুনে আমরা তদন্ত করার জন্য সময় নিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, লিখিত অভিযোগ আমি হাতে পাইনি তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছে। তাকে বিকাল ৪টায় লিখিত অভিযোগ হাতে নিয়ে দেখা করতে বলেছি। যদি মারধর ও প্রাণনাশের সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।