Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইজতেমায় মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে প্রথম দিনের হেদায়েতি বয়ান

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৩:০২ পিএম

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার কারণে টানা দুই বছর বিরতি দিয়ে শুরু হয়ে গেছে দাওয়াত ও তাবলীগের এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গত মঙ্গলবার থেকেই মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে টঙ্গীর তুরাগ পাড়ের এই ইজতেমায়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মুসল্লিদের সংখ্যাও বেড়েছে।
তিন দিনের এই ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা কীভাবে সময় কাটাবেন সেই বিষয়ে মেহমান বলেন, আল্লাহ তায়ালার অনেক বড় অনুগ্রহ যে তিনি আমাদেরকে এই মোবারক ইজতিমায় এনেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। এই ইজতিমায় আসা, দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করা, অন্যকে দ্বীনের জন্য দাওয়াত দেয়া এসবের দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আমাদের জীবনে দ্বীন এসে যাওয়া।
মানুষ ব্যবসা করে লাভের জন্য, চাকরি করে টাকা পয়সা উপার্জনের জন্য, পড়াশোনা করে ডিগ্রি অর্জনের জন্য, ঠিক একইভাবে আমাদের কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো হেদায়েত পাওয়া। আমরা যেন পরিপূর্ণ দ্বীন মানতে পারি, আল্লাহর পথে জীবন চালাতে পারি- এটাই হলো আমাদের মেহনতের উদ্দেশ্য।
দুনিয়া হলো হালতের ঘর। এখানে সুখ আছে, দুঃখ আছে, হাসি আছে, কান্না আছে, মুসিবত আছে। মোটকথা সবকিছু মিলিয়েই হলো জীবন। যাদের ভেতরে দ্বীন আছে, আল্লাহ তাদের জীবনকে ঠিক করে দেন। দুঃখ দুর্দশা এলে এর থেকে উত্তরণের পথ বের করে তাদেরকে সুখময় জীবন দান করেন।
প্রিয় ভাইয়েরা, ঈমানের পরে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হলো সুস্থতা। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়ালার কাছে সুস্থতার নেয়ামত চাও। কখনো অসুস্থতা ও দুঃখ-দুর্দশা চেয়ো না। আল্লাহ তায়ালা দ্বীনদার মানুষকে এমন সুখময় জীবন দান করেন যে আশপাশের সবাই ঈর্ষান্বিত হয়। হায়, আমিও যদি এমন জীবন পেতাম!
যার ভেতরে দ্বীন এসে গেছে, আল্লাহ তার সবকিছুকে সহজ করে দেন। দুনিয়ার জীবনের পাশাপাশি তার পরকালের জীবনও সহজ এবং সুখের হয়। মৃত্যু সহজ হয়। তার কবরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দেয়া হয়। কেয়ামতের ভয়াবহ সময়ে তার ওপরে আরশের ছায়া দেয়া হবে। জাহান্নামের আগুনের ওপরে প্রতিষ্ঠিত পুলসিরাত তিনি বিদ্যুৎ বেগে পার হয়ে যাবেন। কেয়ামতের কঠিন দিনে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বীনদার ব্যক্তিকে নিজ হাতে পানি পান করাবেন।
শুধু তাই নয়, তিনি জাহান্নাম থেকে নিরাপদ হয়ে চির সুখের জায়গা জান্নাতে চলে যাবেন। সবচেয়ে সফল ব্যক্তি তো তিনিই, যিনি জাহান্নাম থেকে নিরাপদ হয়ে জান্নাতে যেতে পারবেন। আর দুনিয়া তো কেবল ধোঁকা ও প্রতারণার জায়গা।
প্রিয় ভাইয়েরা, আমাদের এসব মেহনতের দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আমাদের জীবনে দ্বীন নিয়ে আসা। আজকে উম্মতের কাছে দ্বীনের ইলম আছে। কিন্তু পরিপূর্ণভাবে দ্বীনের ওপরে চলার হিম্মত ও শক্তি নেই। আর পরিপূর্ণ দ্বীনের ওপরে চলার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তায়ালা যেসব কাজের আদেশ দিয়েছেন তা করা এবং যেসব কাজের বিষয়ে নিষেধ করেছেন তা থেকে বেঁচে থাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্ব ইজতেমা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ