পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গতকাল আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাত শেষে হওয়ার পর টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকা থেকে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হতে শুরু করেন মুসল্লিরা। ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে যোগ দিতে আসার পথেও একই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের।
বিশ্ব ইজতেমা মাঠ থেকে গাজীপুর শহর কিংবা রাজধানীতে সরাসরি ফেরার কোনো গণপরিবহন নেই। ফলে ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে যারা ওই পথে প্রবেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তাদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ হেঁটে হেঁটে রওনা হয়েছেন, আবার কেউ কেউ কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে প্রাইভেটকার, সিএনজি, ভ্যান, মোটরসাইকেল, পিকাপ ভ্যান ও অটোরিকশা করে রওনা হয়েছেন।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষে হওয়ার পর রাজধানীর বিমানবন্দর ও গাজীপুরের বিভিন্ন সড়ক এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীগামী মানুষের ঢল নাম থাকে বিমানবন্দর সড়কে। বিশেষ করে যারা টঙ্গী ইজতেমা মাঠে না যেতে পেরে যারা স্টেশন রোড, হোসেন মার্কেট উত্তরা কিংবা বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছিলেন তারা এখন ফিরছেন। গণপরিবহন না থাকায় ও অন্যান্য বাহনের সঙ্কট থাকায় তারা ফিরতি পথে পদে পদে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
ঢাকার কাকরাইল থেকে আসা আল আমিন জানান, ফিরতি পথে অধিকাংশ মানুষ পায়ে হেঁটে রাজধানীর দিকে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ পিকাপভ্যান বা সিএনজিতে করে রওনা হয়েছেন।
গাজীপুরের পূবাইল এলাকার বাসিন্দা নওজেশ আলী জানান, আখেরি মোনাজাতের শুরুতে মানুষ দলে দলে ইজতেমা মাঠের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু মোনাজাত শেষ হওয়ার পর সবাই একসঙ্গে ফিরছেন বলে যানবাহনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে একদিকে যেমন গাড়ির সঙ্কট, তেমনি ফিরতি পথে গুণতে হচ্ছে বেশি ভাড়া।
আব্দুল্লাহপুর থেকে পিকাপ ভ্যানে করে আখেরি মোনাজাত শেষে বিমানবন্দর এসেছেন সানোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আখেরি মোনাজাত শুরু আগে বিমানবন্দর থেকে ১৫০ টাকায় পিকাপ ভ্যান করে আব্দুল্লাহপুর গিয়েছিলাম। এখন ফিরতি পথে ২০০ টাকা দিয়ে আসতে হয়েছে। এক সঙ্গে অনেক মানুষ রওনা হওয়া অল্প সময়ের ব্যবধানে ৫০ টাকা ভাড়া বেড়ে গেছে।
মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং সেবা নিয়ে আখেরি মোনাজাত শেষে উত্তর বাড্ডা যাচ্ছেন সোলায়মান মিয়া। তিনি বলেন, যাওয়ার সময় উত্তরা যেতে খরচ হয়েছিল ২০০ টাকা। এখন ৪০০ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল করে যেতে হচ্ছে। যাত্রী বেশি দেখে চালকরা ভাড়াও বেশি চাইছেন। অন্যদিকে, তেজগাঁওয়ের উদ্দেশে হেঁটেই রওনা হয়েছেন কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ইজতেমা মাঠে যাওয়ার সময় বাস-অটোরিকশা দিয়ে গেলেও এখন কোনো গাড়িই পাচ্ছি না। এখন হেঁটে খিলক্ষেত যাব, সেখান থেকে কুড়িল গিয়ে বাসে রওনা হব। বাস বা কোন গাড়ি না পেলে পায়ে হেঁটেই বাসায় ফিরব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।