Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদ্রাসাগুলো সব ধর্মের ছাত্রদের জন্য উন্মুক্ত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ৩:১১ পিএম

ইউপি রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ডঃ ইফতিখার আহমেদ জাভেদ বলেছেন, প্রত্যেক ধর্মের ছাত্রদের রাজ্য মাদ্রাসায় শিক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, “মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি বিষয়ে আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হয়। মুসলমানরা যদি সংস্কৃত স্কুল-কলেজে শিক্ষালাভ করতে পারে, তাহলে অন্য ধর্মের ছাত্ররা মাদ্রাসায় শিক্ষা নিতে পারবে না কেন? আমি মনে করি না ধর্মের কারণে ছাত্রদের মধ্যে বৈষম্য করা উচিত। আমি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও ছিলাম।
ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (এনসিপিসিআর)-এর নোটিশের জবাবে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
এনসিপিসিআর-এর চেয়ারপারসন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে অমুসলিম শিশুদের ভর্তি করা সমস্ত সরকারি অর্থায়ন/স্বীকৃত মাদ্রাসার বিস্তারিত তদন্তের জন্য বলা হয়েছে।
তদন্তের পর, এ ধরনের সমস্ত শিশুকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য স্কুলে ভর্তি করা উচিত, এটি বলেছে।
চিঠিতে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সমস্ত মানহীন মাদ্রাসার ম্যাপিং করার এবং অবিলম্বে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের জন্য যে কোনও/সকল শিশুকে স্কুলে ভর্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে রেকর্ডের জন্য 30 দিনের মধ্যে অ্যাকশন নেওয়া রিপোর্টের (এটিআর) একটি অনুলিপি এবং আরো উপযুক্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা চাওয়া হয়েছে।
ডা. জাভেদ বলেন: ‘ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার একটি অমূল্য উপকরণ হিসাবে মাদ্রাসা সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে সাক্ষরতা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষার্থীরা যে কোনো বিশ্বাসের হতে পারে’।
রাজ্যে কিছু মাদ্রাসা আছে যেখানে সংস্কৃত এবং অন্যান্য ভাষা পড়ানো হয়। তিনি বলেন, মাদ্রাসায় বিজ্ঞান, গণিতসহ অন্যান্য বিষয়ও পড়ানো হচ্ছে। সূত্র : আইএএনএস।



 

Show all comments
  • মোঃ গোলাম কিবরিয়া ১১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:২২ এএম says : 0
    চিন্তাটা চরম পর্যায়ের। মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য এইরকম পরিকল্পনা একটাই যথেষ্ট। যখন অন্য ধর্মাবলম্বীরা মাদ্রাসায় ঢুকবে তখন মাদ্রাসার বইগুলো হয়ে যাবে অধিকার বাস্তবায়নের কৌশল যা একসময় বলবে অন্য ধর্মাবলম্বীদের পাঠও এখানে ঢুকাতে হবে। এরপরই শুরু হবে বাড়াবাড়ি। যার ফলাফল হবে খুব মারাত্মক। এটা কখনোই কাম্য নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • ইয়াছিন আলী ১১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:৫৬ এএম says : 0
    এটা হলো ধর্মভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার একটা অপকৌশল,,,,এটার তিব্র নিন্দা জানাই,,,
    Total Reply(0) Reply
  • ইয়াছিন আলী ১১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:৫৭ এএম says : 0
    এটা হলো ধর্মভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার একটা অপকৌশল,,,,এটার তিব্র নিন্দা জানাই,,,
    Total Reply(0) Reply
  • ইয়াছিন আলী ১১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:৫৭ এএম says : 0
    এটা হলো ধর্মভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার একটা অপকৌশল,,,,এটার তিব্র নিন্দা জানাই,,,
    Total Reply(0) Reply
  • সামিয়া রহিম ১১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:৫২ পিএম says : 0
    সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। ইসলাম মানব জাতির ধর্ম। বিশেষ কোন গোষ্টির ধর্ম নয় ? ইসলামের শিক্ষা সবার জন্য উম্মুক্ত। হেদায়ত বা মানার সুযোগ কেবল দেয়ার ক্ষমতা রাখেন স্রষ্ট্রা। সংর্কীণ মানসিকতার মানুষ কখন ইসলামের অনুসারী হতে পারে না । তবে নিজে তার পরিচয় দিতে পারে, আমি মুসলমান আমি ইসলামের অনুসারী। কিন্তু স্রষ্ট্রার বিবেচনায় সে মুসলমান বা ইসলামের অনুসারী কি না, তা পরখ হবে। ইউরোপ বা যুক্তরাজ্য অমুসলীমদের জন্য মসজিদের দরজা খুলে দেয়া হয় সপ্তাহে কোন এক দিন ( সুবিধা মতো)। কারন মসজিদের পরিবেশ দেখার সুযোগ সভায় লাভ করতে পারে। কিন্ত বাংলাদেশ বা ভারতে মসজিদের পরিবেশ দেখার সুযোগ কি অমুসলিমদের আছে ? এখানকার মসজিদ গুলো মরা বাড়ির মতো। অথচ ইসলামে মসজিদ মানে মুসলমানদের প্রশাসনিক কেন্দ্র তুল্য। আমরা মসজিদ যেয়ে নিজদের মুসলমান মনে করি, একজন লোককে ইমাম মেনে নামাজ পড়ি, ধনী গরিবের ভেদাভেদ নেই এক লাইনে দাড়াই, মসজিদ পরপাটি রাখি, অপরদিকে মসজিদের বাইরে এসে মসজিদের সেই ইমামকে জাগতিক কোন ধারায় উপযোগী বা যোগ্য মনে করি না, গরীব লোক মসজিদে পাশাপাশি স্থান দিলেও সমাজে পাশাপাশি বসার সুযোগ দিলে পেস্টিজ যায় যায়, মসজিদের বাইরে অপরিচ্ছনতা আমাদের জীবনসঙ্গ নয় কি ? আসলে আমাদের পরিচয় কি ? ধোকাবাজি ছাড়া আর কি কিছু অবশিষ্ট আছে ? সুতরাং ধর্মভিত্তিক বিশেষ লেখা পড়ার একমাত্র কারো সুযোগ নেই ইসলামে। ইসলাম সমগ্র মানবজাতির জন্য স্প্রেশাল, সবাই একত্রে পড়ার সুযোগ লাভই ইসলামের বিশেষত্ব।
    Total Reply(0) Reply
  • হোসেন জামিল চৌধুরী ১১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:০৭ পিএম says : 0
    খুবই ভালো উদ্যোগ, এতে অন্তত পশ্চাৎপদ মাদ্রাসা শিক্ষায় আধুনিকায়নের হাওয়া লাগবে,যুগোপযোগী সব বিষয় গুরুত্ব পাবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভিন্ন ধর্মীয় মত/বিষয়ে মাদ্রাসায় যে সংকীর্ণমনোভাব চর্চা করা হয় তা হয়ত লোপ পাবে, যা আধুনিক কল্যাণরাস্ট্র গঠনে খুবই জরুরী
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উন্মুক্ত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ