বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা ব্যুরো : খুলনা-মংলা রেল লাইনের জমি অধিগ্রহণের চেক ছাড়ে রেট বৃদ্ধি করা হয়েছে। পত্রিকায় খবর প্রকাশের ঘুষের টাকা গ্রহণের কৌশল পাল্টেছে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রতি লাখে ৬ হাজার টাকা স্থলে এখন নিচ্ছেন দশ হাজার টাকা। ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করলে বা দাবিকৃত অর্থ না দিলে অযথা হয়রানীর ভয় ক্ষতিগ্রস্তদের। আর খুলনা জেলা প্রশাসন দাবি করছেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ প্রতিবেদকের কথা হয় ১০/১২জন ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকের। চেক ছাড়ে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ তাদের। বটিয়াঘাটা এলাকার তারাপদ সরদার বলেন, ‘আমার নিকট থেকে এখন লাখ প্রতি ১০হাজার টাকা নিয়েছে। এবার জমির মূল্য ২১লাখ টাকার মতো পেয়েছি; সে হিসেবে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে তাদের। এর আগে, প্রতি লাখে ৬ হাজার টাকা দিয়েছি।’ কে নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কে নিয়েছে তা জানে আমার ছেলে।
আমি জানি না।’ এরইমধ্যে তার ছেলে চলে আসলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি আর কথা বলতে চাননি। এ সময় অপরিচিত ব্যক্তি সাথে কথা বলতে দেখে জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার মোহরার মো: ইসরাফিল ওই ব্যক্তিদের ইশারায় সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। পরে তারা আর কথা বলেননি। গত সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের এলএ শাখার অন্তত ২০জন জমি মালিকের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। এদের প্রত্যেকেই দাবি করেন, তারা লাখ প্রতি ৬ হাজার টাকা করে অগ্রীম জমা দিয়েছেন সার্ভেয়ারদের নিকট। রঞ্জন মল্লিক নামে ডুমুরিয়া উপজেলার বিল পাবলা মৌজার জমি মালিক বলেন, ‘জমির মালিকানা স্বত্ত¡ নিশ্চিত হওয়ার পর টাকা পরিশোধ করতে হবে। আমার অনেক প্রতিবেশীই টাকা দিয়ে চেক নিয়ে গেছেন। টাকা না দিলে তো হয়রানী করা হয়। ছয় হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে’।
জমি মালিকদের অভিযোগ, জমির মূল্য বাবদ অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে প্রতি লাখে ৬ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। ঘুষের টাকা চেক হস্তান্তরের আগেই পরিশোধ করতে হচ্ছে তাদের। এলএ শাখার সার্ভেয়াররা এসব ভূমি মালিকের সঙ্গে আগেই আলোচনা করে টাকার অংক নির্ধারণ করে দেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকাও আদায় করা হচ্ছে। টাকা না দিলে জমির মূল্য বাবদ প্রাপ্য অর্থ ছাড়ে জটিলতা সৃষ্টি করে হয়রানি করেন কর্মচারীরা। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, জমির কাগজপত্র জমা দেয়ার পর সার্ভেয়াররা সংশ্লিষ্ট জমির নিষ্কণ্টকতা যাচাই করেন। জমির একাধিক মালিক হিসেবে আপত্তি থাকলে তাদের কাছ থেকে আদেনপত্র গ্রহণ করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেটের মাধ্যমে শুনানির পর জমির ছাড়পত্র দেয়া হয়। তবে সব ধরনের ক্লিয়ারেন্স দেয়ার পরও সার্ভেয়াররা জমির মালিকদের অর্থ ছাড়ের বিষয়ে নানা তালবাহানা শুরু করেন। কৌশল পাল্টে এখন টাকা নেয়া হচ্ছে একেবারেই বাইরে। অগ্রীম পরিশোধ করা হয় নির্ধারিত টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।