বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : জেলা পরিষদ নির্বাচনে খুলনায় কদর বেড়েছে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বরসহ অন্তত ৩৩২ জন প্রতিনিধি (ভোটার) বিএনপি-জামায়াতের। বিরোধী দল-মতের প্রার্থী না থাকায় এ ভোট ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৭০ ভোটারের মধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২৯৩ ভোট আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর রিজার্ভ থাকলেও দাবিদার স্বতন্ত্র প্রার্থী অজয় সরকার। ফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থীদ্বয় ও তাদের অনুসারীরা ভোট প্রার্থনা করছেন খুলনার বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কাছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বরসহ অন্তত ৩৩২ জন প্রতিনিধি (ভোটার) বিএনপি-জামায়াত নেতা। ফলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদকে জয়লাভ করাতে জেলা, মহানগর ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সাথে। আর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০দলীয় জোটের প্রার্থী না থাকায় বিএনপি-জামায়াতের কদর বেড়েছে ক্ষমতাসীনদের কাছে।
জেলা বিএনপির একাধিক নেতা জনপ্রতিনিধি জানান, ইতিমধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি ও খুলনা মহাজোটের সমন্বয়ক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান দলীয় মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে আহŸান জানিয়েছেন। এসব নেতা কয়েকটি ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধির সাথে বৈঠক করে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।
কয়রার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ‘নৌকা’ প্রতীকে ভোটটা দাবি করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবো শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত। তারমধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত না পেলে দেখা যাক কি করা যায়।”
তবে নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়ে অহেতুক ঝামেলায় জড়াতে চাইছেন না বিরোধী দল-মতের জনপ্রতিনিধিরা। পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অজয় সরকারের মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ভোট তো চাইছেন। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
খুলনা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা বলেন, “দলের কোন নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে না। তাই স্থানীয়ভাবে যে যার পছন্দ মতোই ভোট দিতে পারবে। এতে কোন বাধা-নিষেধ থাকছে না।” প্রসঙ্গত, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ‘আনারস’, রূপসা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আলী আকবর শেখ ‘কাপ পিরিচ’ এবং আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক অজয় সরকার ‘চিংড়ি মাছ’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এ ছাড়া ১৫টি সদস্য পদে ৫৯ জন সাধারণ সদস্য এবং পাঁচটি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২জন মহিলা প্রার্থী রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।