Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারকে হটাতে না পারলে দেশ অনিয়মমুক্ত হবে না: ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:৫৫ পিএম | আপডেট : ৭:৫৫ পিএম, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩

ক্ষমতাসীন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে না পারলে দেশ অনাচার-অনিয়মমুক্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা হটাতে চাই, এই সরকারকে না হটাতে পারলে যত অনাচার-অত্যাচার, যত রকমের অন্যায় আছে তা আমরা দূরীভূত করতে পারব না। অর্থ্যাৎ গণতন্ত্র না থাকলে স্বাভাবিকভাবে কোনো সেক্টরই সুন্দরভাবে চলতে পারে না। সেটাই আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে গণতন্ত্রকে হত্যা করে, তারা স্বাধীনতার পরে করেছিলো বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে, এখন আবার করেছে।

বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময়ের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে স্কাইপেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন। বাইবেল পাঠের পর প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে বড়দিনের কেক কাটেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তারেক পরে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেণ, এখন আমাদেরকে এই বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে হবে। আমি আশা করি যে, আমরা বাংলাদেশের সকল মানুষ, খ্রিষ্টান হন, হিন্দু হন, বৌদ্ধ হন, মুসলমান হন আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে উদ্ধার করবো, জনগণের কাছে দেশের মালিকানা ফেরত দিতে পারব।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ- সেই চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যে, এদেশের মালিক জনগণ। সেই জনগণ আমি-আপনি সকলে। এদেশের সকল জনগণ বাংলাদেশী। বাংলাদেশটা এদেশের জনগণের। কিন্তু যারা আছে সরকারে বা ক্ষমতায় তারা স্বাধীনতার পরে যা করেছিলো, এখনো তাই করেছে। এটা জনগণের এই দেশকে আওয়ামী লীগের একটি গোষ্ঠি করায়ত্ব করে নিয়েছে, তারা এগুলো করছে। এদেশকে উদ্ধার করে জনগণের কাছে ফেরত দিতে হবে। আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ, বাংলাদেশকে জনগণের কাছে ফেরত নিতে হবে। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

বিএনপির ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রুপরেখা’র প্রসঙ্গ টেনে খন্দকার মোশাররফ বলেন, সেখানে ১৬ নং দফায় আছে, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। এটা হচ্ছে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া রাষ্ট্র মেরামতের রুপরেখার একটি। এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে। আমাদের দলের যে আদর্শ, আমাদের দলের যে গঠনতন্ত্র তার মধ্যে আছে ২ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে যে, ধর্ম বিশ্বাস এবং ধর্মপ্রিয়তা বাংলাদেশী জাতির এক মহান একটি চিরঞ্জীব বৈশিষ্ট্য। আমরা যার যার ধর্মকে বিশ্বাস করি, শ্রদ্ধা করি, মানি। আমরা সকলের সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজ কত জায়গা নানা রকমের বাধা সৃষ্টি করছেন, ধর্মীয় মন্দিরে গীর্জায়.. এগুলো বলে শেষ করা যাবে না।

বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টার সভাপতিত্বে এবং সুব্রত চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতৃবৃন্দের মধ্যে শীবল রিবেরু, শশধর দ্রং, জন জেদ্রা, মার্শেল এন চিরান, মৃগেন হাগিদক, যোয়েল আন্তণী চৌধুরী, জর্জ ওয়াসিন্টন, পবিত্র প্রামানিক, মন্টু পিটার রোজারিও, অনিল লিও কস্তা, শ্যামল রঞ্জন ভৌমিক, নিতাই কুমার সাহা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।###

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. মোশাররফ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ