পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগই দেশে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এরা (আওয়ামী লীগ) ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে দিনের ভোট রাতে করে; গায়ের জোরে। এ দেশের রাষ্ট্রকাঠামো একটি একটি করে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। কাদের আমলে রক্ষী বাহিনী তৈরি করে দেশের ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল? গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছিল কাদের আমলে? আওয়ামী লীগের আমলে।
গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা যখনই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিই, সরকার তখনই বলে আমরা নাকি ভায়োলেন্স করব। অথচ আওয়ামী লীগের আমলে রক্ষীবাহিনী তৈরি করে দেশের ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ঢাকা বিভাগের সমাবেশ থেকে আমরা ১০ দফা ঘোষণা দিয়েছিলাম। ১০ দফার মূল কথা ছিল, এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই অবৈধ সংসদ বাতিল করতে হবে। এ দেশে একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। এ দেশের মানুষ যাতে নিজের হাতে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে। এ দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
‘বিএনপি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে‘- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যে মোশাররফ বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্নভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করছে। তাদের সত্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই-এ ধরনের কথা বলে দেশের জনগণকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়।
বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের দুর্নাম বয়ে এনেছে। দেশের বিচারব্যবস্থা, গণতন্ত্র সামাজিক অবকাঠামো সব ধ্বংস করে দিয়েছে। চাপাবাজি করে বলছে, বিএনপির আমলে নাকি রাষ্ট্র ধ্বংস হয়েছে। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা জনগণ বিশ্বাস করবে না।
তিনি বলেন, ‘১৯৭২ থেকে ১৯৭৫-এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। সে সময় তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে, বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। এই দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে তারা লুটপাটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা করেছিল।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, শেখ হাসিনা আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চান। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি। আজকে আলোচনা করবেন না, উনি (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলবেন না! ওনার মনমতো উনি নির্বাচন করবেন!
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, ’১৪ সাল ও ’১৮ সাল ভুলে যেতে হবে। এই বাংলাদেশের নির্বাচন হলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেটা যদি আপনি না করেন। তবে ’৫২, ’৬৯, ’৯০-এর মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে। তার অধীনে নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ জনগণের সরকার নির্বাচিত হবে। সেই সরকার হবে বিএনপি সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে আফরোজা আব্বাস বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগের বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার যে ক্র্যাকডাউন করে হাজার হাজার গ্রেপ্তার করেছে। তারা সমাবেশকে বানচাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এই সরকারের আমলে নারীরা বেশি নির্যাতিত হয়েছে। নারীরা কান্না করে, গুম, খুন, গ্রেপ্তার হওয়া স্বামী-সন্তানদের জন্য। গুলি করে আমাদের ভাইদের হত্যা করছেন। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা আর ভয় করি না। নারী নেত্রীসহ গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।’
সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরীর নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।