মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অগণিত শ্রোতার দৈনন্দিন জীবনের সাথে ৮১ বছর ধরে জড়িয়ে থাকা বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি)। কেবল বাংলা নয়, আরবি, ফার্সি, চীনা, কিরগিজ, উজবেক, হিন্দি, ইন্দোনেশিয়ান, তামিল ও উর্দু ভাষার রেডিও সম্প্রচারও আর শোনা যাবে না বিবিসিতে।
কোনো ভাষা বিভাগই অবশ্য পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না। অনলাইন সংবাদমাধ্যম হিসেবে অনেকগুলো ভাষার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি।
সেই সঙ্গে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস থেকে ৩৮২ জন কর্মী কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বছরে খরচ কমবে ৩২০ কোটি টাকার বেশি।
বিবিসি বাংলায় যেসব রেডিও অনুষ্ঠান হয়, তা এখন ওয়েবসাইটেও শোনা যায়। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এসব অনুষ্ঠান আর কোনো মাধ্যমেই শোনা যাবে না। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে বিবিসি বাংলার অন্যান্য কন্টেন্ট উপভোগ করা যাবে।
আর লন্ডনে বিবিসি সদরদপ্তরে যেসব বিদেশি ভাষার বিভাগ আছে, কিছু দেশের ক্ষেত্রে সেখানেও কিছু কাটছাঁট করে সেসব দেশে অফিস চালু রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
আর কতদিন চলবে বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার? এ প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার বিবিসির প্রবাহ অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের প্রধান সাবির মুস্তাফা বলেন, “আমরা কোনো সময়সূচি পাইনি– কবের মধ্যে এটা বন্ধ করা হবে। তবে এটুকু বলতে পারি, আগামী বছর মার্চের মধ্যে এটা হবে।
“আর ৬ মাস... এখন এটা জানুয়ারিতে হবে না ফেব্রুয়ারিতে হবে, এটা আমি সঠিকভাবে বলতে পারব না। তবে মার্চের মধ্যে হবে- এটা আমি নিশ্চিত।”
১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর বাংলায় ১৫ মিনিটের সাপ্তাহিক সম্প্রচার শুরুর মধ্য দিয়ে যাত্রা করেছিল বিবিসি বাংলার রেডিও কার্যক্রম। পর্যায়ক্রমে সংবাদ সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৬৫ সালে।
৮১ বছরের বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় রেডিওতে এখন ’সংবাদ ও দৈনন্দিন ঘটনাবলী’ নিয়ে ৩০ মিনিটের দুটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে বিবিসি বাংলা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ’প্রবাহ’ আর রাত সাড়ে ১০টায় ’পরিক্রমা’ এখনও শুনতে পান শ্রোতারা।
ইন্টারনেট, টেলিভিশন আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরের ছড়াছড়ির মধ্যেও সন্ধ্যা বা রাতে বিবিসি বাংলার খবর শোনার অভ্যাসটা টিকিয়ে রেখেছিলেন সরাইলের ভূইশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার। সেই সম্প্রচার বন্ধের খবরে মন খারাপ তার।
তিনি বললেন, “প্রযুক্তিতো বদলে গেছে। রেডিও আর নাই বললেই চলে। এখন আর দরকারও পড়ে না। আমি যতটুকু পারছি, খবর শুনছি।… রিপোর্টগুলো আমার ভালো লাগে, উপস্থাপনা গোছানো হয়, তথ্যবহুল মনে হয়। এখন যদি বন্ধ হয়ে যায়, শোনা হবে না- স্বাভাবিকভাবে মনতো খারাপ হবেই।”
শ্রোতাদের মত সাবেক কর্মীদেরও মন খারাপ। তবে সময়ের বিবর্তনে রেডিও বন্ধ হয়ে যাওয়াকে নিয়তিই মানছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।