অবিলম্বে জাতীয় শিক্ষানীতি শিক্ষা আইন বাতিল ও মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ করতে হবে
রংপুর জেলা সংবাদদাতা : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুর মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পৃথিবীর সবগুলো দেশই তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য, ধর্ম এবং সংস্কৃতির পটভূমিকে সামনে রেখে তাদের শিক্ষানীতি এবং পাঠ্য সিলেবাস প্রণয়ণ করে থাকে। বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষানীতি এবং পাঠ্য সিলেবাসও এদেশের ইতিহাস ঐহিত্য এবং দেশের মানুষের ধর্মীয় বোধ-বিশ্বাস, মনন এবং চর্চিত সংস্কৃতিকে সামনে রেখেই তৈরি হবে এটাই স্বাভাবিক এবং যুক্তিযুক্ত। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের তীব্র আপত্তি ও আন্দোলন সত্যেও একটি বিতর্কিত শিক্ষানীতি জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুমোদন লাভের সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় সকল স্তরের পাঠ্যপুস্তুকে সর্বনাশা পরিবর্তন চলে আসে। বিশেষ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা সিলেবাস থেকে দীর্ঘদিন যাবত চলমান ইসলাম ধর্মীয় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বোধ-বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিষয়গুলো বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার আমরা তীব্র বিরোধীতা করছি এবং অবিলম্বে এই বিতর্কিত শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন বাতিল এবং হিন্দুত্ববাদী, নাস্তিক্যবাদী নতুন শিক্ষাক্রম সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।
গতকাল রংপুর মহানগরীতে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তারা এই দাবি জানান। প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান কাসেমী আরো বলেন, এই বিতর্কিত শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন বাতিল এবং হিন্দুত্ববাদী, নাস্তিক্যবাদী নতুন শিক্ষাক্রম সংশোধনের দাবিতে আমরা ইতিমধ্যে জাতীয় সংসদ অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি পেশ, গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য লিফলেট বিতরণ ও গণস্বাক্ষর অভিযান, সারাদেশে মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ ৮ বিভাগে বিভাগীয় মহাসমাবেশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণমিছিল ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছি।