পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের ভুল নীতি, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার জন্য বিদুৎখাতের এই দুরাবস্থা। ভুল নীতি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপচয় বন্ধ করতে পারলে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম কমানো সম্ভব বলে মনে করে সিপিবি। রাজধানীর সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল সভাপতিমণ্ডলীর সভায় এসব কথা বলেন দলটির নেতারা। সভায় চলমান ‘দুঃশাসনের’ অবসান ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম জোরদার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সিপিবির নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার বা দলীয় সরকারের অধীন দেশে কোনো নির্বাচন নয়।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুতের দাম উৎপাদনের খরচ অনুযায়ী দিতে হবে। ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ-গ্যাস দেওয়া আর সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে সিপিবি বলেছে, সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। আর কতক গোষ্ঠী ও কমিশনভোগীদের টাকা কামাইয়ের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তাই এর দায় সাধারণ মানুষের ওপর চাপানো চলবে না। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
নেতারা বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ালে শুধু মাসের খরচ নয়, উৎপাদন-যাতায়াতসহ সর্বত্র খরচ বাড়বে। মূল্যবৃদ্ধিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষের আরও দুর্ভোগ বাড়বে। এ সময় ভাড়ায় জ্বালানি খাতের দায় মুক্তি আইন বাতিল, রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বন্ধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস খাতের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিও জানানো হয়।
ঋণখেলাপিদের আরও ছাড় দেওয়ায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি বলছে, ব্যক্তি-গোষ্ঠীর স্বার্থে এ ধরনের সুযোগ দেওয়া সাংবিধানিক ও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যবসায়ীরা আগে কিস্তির ৭৫ শতাংশ অর্থ জমা দিলে খেলাপি হতেন না। এখন কিস্তির ৫০ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই কেউ খেলাপি হবেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সুযোগ মিলবে চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সভায় নেতারা বলেন, ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায় ও পাচারের টাকা ফেরত আনার দৃশ্যমান ও কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে বরং খেলাপি ঋণ আদায়ে আরও ছাড় দিয়ে খেলাপিমুক্ত থাকার বিরুদ্ধে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হলেও পর্যাপ্ত টাকা পাওয়া যায় না, বরং নতুন নতুন আর্থিক জালিয়াতির পথ তৈরি করা হয়। সভায় ঋণখেলাপি ও টাকা পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ, টাকা উদ্ধার এবং যাঁদের পরামর্শে-অনুমোদনে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান সিপিবির নেতারা।
সভাপতিমণ্ডলীর এ সভার সভাপতিত্ব করেন সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। এ সময় বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহীন রহমান, অধ্যাপক এ এন রাশেদা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।