পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশ ও সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, দেশ এবং সরকার দুটোই চালাচ্ছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। আর সরকার এদের রক্ষক ও পাহারাদার হিসেবে কাজ করছে। ঈদের সময় মানুষকে জিম্মি করে, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়াল। সরকার সিন্ডিকেট মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদেরই পুরস্কৃত করল। সরকারই এসব কারসাজির মূল হোতা।
গতকাল শনিবার তেল নিয়ে কারসাজি ও দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি›র সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ অন্যরা।
সিপিবি›র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, অবিলম্বে তেলের দাম কমানো ও বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত ভাবে তেলসহ নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, দেন দরবার করে লুটেরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু পাওয়া যাবে না। বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। সারাদেশে রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে দেশে তেলসহ নিত্যপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে ও তেলসহ মজুতপণ্যের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রীকে পদচ্যুত করার আহ্বান জানিয়ে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, অযোগ্য মন্ত্রী আমলা আর কমিশন ভোগীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে। সরকার আজ ডাবল ব্যর্থ। সাধারণ জনগণের আয় বাড়াতে পারেনি, অথচ বেশি দামে নিত্যপণ্য কিনতে বাধ্য করে লুটেরা ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করছে। সাধারণ মানুষকে আজ প্রয়োজনের তুলনায় কম খেয়ে বাঁচার চেষ্টা করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ যখন দিশেহারা তখন সরকারের মন্ত্রী বলছেন, ‹মূল্য বৃদ্ধির প্রশ্নে সরকারের কিছুই করার নেই।› আমরা এই সমাবেশ থেকে বলি, ‹এই সরকারের আর দরকার নেই। সাধারণ মানুষের পকেট কাটার সরকার আর না। দাম কমানোর উদ্যোগ না নিলে বামপন্থী অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে হরতাল অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জনগণের সরকার হলে দাম বাড়ানোর আগে সাধারণ মানুষের মতামত নিত। এটা না করে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার প্রথম দিনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে অস্বাভাবিক ভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হলো। এতে প্রমাণ হয় এই সরকার জনগণের না, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের সরকার।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল, বৈষম্যহীন শোষণ মুক্ত সমাজ। এই সরকার ওই পথ থেকে সরে লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা করছে। এই লুটেরা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে, ওই লুটের টাকা তোলার জন্য জনগণের পকেটকাটা হচ্ছে। তিনি আন্দোলনে জনগণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক এ এন রাশেদা বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ একা করেনি। মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনগণের যুদ্ধ। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বাম গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পার্টি কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। একই দাবিতে সিপিবির আহ্বানে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সমাবেশ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।