পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, জেলখানায় আটক কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে, এটা আমরা আমাদের জেল জীবনে দেখিনি। আমরা অনেকেই জেল খেটেছি। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। তাই মুশতাকের ঘটনা স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া যায় না।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সিপিবি আয়োজিত ‘আটককৃত ছাত্র নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ডজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি’তে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশের সব বড় বড় মিডিয়াই লুটেরাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সুকৌশলে এটাকে নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্য সরকার নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) মানুষ প্রকৃত সত্যটা জানছে। সুতরাং সোশ্যাল মিডিয়াতে যেন কোনো খবর প্রচারিত না হয়, সত্যিকার তথ্য যাতে মানুষ জানতে না পারে সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চালু করেছে। লুটপাটকারীর স্বার্থ রক্ষা করার জন্য একের পর এক কালাকানুন জারি করা হচ্ছে। সেই কালাকানুন ব্যবহার করে যারা সত্য প্রকাশ করতে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসছেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিম‚লক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে পুলিশ গুলি করে ছাত্র ইউনিয়নের মতিউল ও কাদেরকে হত্যা করেছিল। তখন আমি বলেছিলাম, যার হাত সন্তানের রক্তে রঞ্জিত তাকে জাতির পিতা আমরা মানি না। এইটা কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কথা ছিল না, ছিল সরকারের সমালোচনা। আজকে ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনা রাষ্ট্র, সরকার সব এক করে ফেলেছেন। লুটপাটের জন্যে গদি রক্ষা করতে হবে। গদি রক্ষা করতেই এই ধরনের নিবর্তনমূলক আইন জারি রাখা হয়েছে।
সমাবেশে অন্যান্যরা বলেন, অদ্ভুত উটের পিঠে দেশ চলছে। শিকদার গ্রুপের মালিকসহ অসংখ্য খুনের আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ এই ছাত্ররা যারা লেখক হত্যার বিচার চেয়ে শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল করেছে তাদের জামিন হচ্ছে না। পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচার এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। এই সরকারও পারবে না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক জলি তালুকদার, সাজ্জাদ জহির চন্দন, আবদুল্লাহ কাফী রতন, আবদুল কাদের, জিয়া হায়দার ডিপটি, সাখাওয়াত ফাহাদ, মমতা চক্রবর্তী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।