পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনা, ছাত্রী নির্যাতন, ছাত্রদল এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সরকারি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের তাণ্ডবের ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ’৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পরেও জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ম্লান করে রাজনৈতিক সরকারগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে এক বধ্যভূমিতে রূপান্তরিত করেছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা ব্যহত করেছে, ভিন্নমতের চর্চার সুযোগ সংকোচিত করেছে, হল হোস্টেলগুলোতে তাদের সমর্থকেরা দানবের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। সংসদ নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। সব সরকারের আমলে এগুলো ঘটলেও পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। প্রশাসন নগ্ন হয়ে সরকারি দলের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করছে। এর ফলে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান এর আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে একক কর্তৃত্ব পোক্ত হচ্ছে। আমরা এই অবস্থার অবসান চাই। ক্ষমতার পালা বদলের সাথে সাথে ক্যাম্পাস দখলের ও ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর কর্তৃত্ব, জোরজবরদস্তির যে ধারা গড়ে উঠেছে তার অবসান চাই। আমরা সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে সরকারি দলের তাণ্ডব সৃষ্টির নিন্দা করি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ গত কয়েকদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঘটনা ঘটছে তার নিরপেক্ষ তদন্ত-বিচার-প্রশাসনের নিরপেক্ষ, দায়িত্বশীল ভূমিকা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ধারা এসব সন্ত্রাসীদের লালন পালন করছে। বিবৃতিতে এর বিপরীতে জনগণের ঐক্য ও নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক ধারাকে অগ্রসর করে এসব অপশক্তিকে পরাস্ত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।