পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে প্রতিযোগিতা লেগে গেছে কে বেশি ইসলাম পছন্দ করে এটা নিয়ে। দুই দলই প্রমান করার চেষ্টা করছে তারাই বেশি ইসলাম পছন্দ করেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্থানের মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত বাসদের প্রথম কংগ্রসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যেই সাম্প্রদায়িকতাকে কবর দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলাম। উপজেলায়-উপজেলায় মডেল মসজিদ তৈরি করতে পারো, উপজেলায়-উপজেলায় মডেল লাইব্রেরি কেন করো না? মডেল বিজ্ঞান ক্লাব কেন করো না? কারণ মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে মানুষকে ভাত ও ভোটের অধিকার থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। এটাই হলো শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র।
সিপিবির সদ্য বিদায়ী সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই মুহূর্তে দরকার বামপন্থীদের সরকার। এটা মনের ভেতরে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অনেকে হতাশা হয়ে বলে সমাজতন্ত্রের, বামপন্থীদের কী কোনও ভবিষ্যৎ আছে? আমি তাদের বলতে চাই, দুনিয়ার আর বাংলাদেশের কী সমাজতন্ত্র ছাড়া আর কোনও ভবিষ্যৎ আছে? এই কথা আজ প্রমাণিত। আমাদের ভবিষ্যৎ হলো সমাজতন্ত্র। তিনি বলেন, ভোটের লড়াই আর ভাতের লড়াই একটা আরেকটার সঙ্গে যুক্ত। ভোটের লড়াই আর ভাতের লড়াই একসঙ্গে করতে হবে। আমরা বামপন্থীরা ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দ্রব্যমূল্য কমাতে হয় তার প্রেসক্রিপশন আমাদের তৈরি করা আছে। বাজারই যদি বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে, এটাই যদি আপনার কথা হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই।
কংগ্রসে বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বামজোটের সমন্বয়ক সাইফুল হকসহ অনেকে বক্তৃতা করেন।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম যথন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন; তখন মঞ্চের বইরে একজন বাদাম বিক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন বাম নেতার কাজে চানতে চান, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের ইসলাম ধর্ম আর মসজিদের প্রতি এতো বিদ্বেষ কেন? আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ নেতাকর্মী ইসলাম ধর্মের মানুষ। সংগত কারণে তারা ইসলামের পক্ষ্যে কথা বলবে। আর মসজিদের সঙ্গে বইয়ের লাইব্রেরি আর বিজ্ঞান ক্লাবের কি তুলনা চলে? সেলিম সাহেবরা মানুষকে কি বোঝাতে চান? বাদাম বিক্রেতার এমন প্রশ্ন শুনে বাম নেতা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যান। তিনি বলেন, ভাই এই কারণে এদের মানুষ পছন্দ করে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।