নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এই আর্জেন্টিনা দলের সাফল্যের আসল রহস্য কী? সবাই এক বাক্যে বলবেন, দলীয় একতা ও একাগ্রতা। আর্জেন্টাইনদের মধ্যকার অটুট বন্ধন ও বোঝাপড়াই দলটিকে কোপা আমেরিকা ও ফিনালিসিমা জিতিয়েছে। আর এখন বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে দেখা থেকে এক ধাপ দূরে। লুসাইলের আইকনিক স্টেডিয়ামে গতকাল রাতে ফ্রান্সকে হারিয়ে তিন যুগের অপেক্ষা ফুরালো আলবিসেলেস্তেদের। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের একমাত্র অপ্রাপ্তি ঘুচছে লিওনেল মেসির।
আর্জেন্টিনা আর মেসির রাতটা রাঙাতে ২৫ সহযোদ্ধা তো ছিলেনই, এর বাইরেও ছিলেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ঠাঁই না হওয়া খেলোয়াড়েরাও। লক্ষ্য ছিল একটাই- গ্যালারি থেকে গলা ফাটিয়ে দলকে অনুপ্রাণিত করা। তাতে শতভাগ সফল তারা, ঘরে উঠেছে বহুল আকাক্সিক্ষত বিশ্বকাপ শিরোপা।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দেয়া সার্জিও আগুয়েরো আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে শুরু থেকেই আছেন। মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, রদ্রিগো দি পলদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা মেরেছেন। অনুশীলনে যোগ দিয়ে তাঁদের উজ্জীবিত করছেন। সবাইকে উদ্দীপ্ত করতে ড্রেসিংরুমেও ছিলেন। মোটকথা, খেলোয়াড় হিসেবে না থাকলেও দলকে উৎসাহ ও প্রেরণা দিয়ে গেছেন সমানতালে। এমনকি আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়দের হাতাহাতি থামাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাতেও দেখা গেছে তাঁকে।
কদিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন চোটে ছিটকে যাওয়া জিওভানি লো সেলসোও। ফাইনালের আগে দলটাকে আরও ভারী করেছেন হোয়াকিন কোরেয়া, হুয়ান মুস্সো, লুকাস মার্তিনেজ, নিকোলাস গঞ্জালেস, নিকোলাস দমিঙ্গেজরা। লো সেলসোর মতো হোয়াকিন কোরোয়াও চোটের কারণে বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। আর বাকিরা কোচ লিওনেল স্কালোনির প্রাথমিক দলে থাকলেও ২৬ সদস্যের চূড়ান্ত দলে জায়গা পাননি। তবু তাঁদের কারও স্কালোনির ওপর রাগ কিংবা ক্ষোভ নেই। বরং তারা মনে করেছেন, স্কোয়াডকে কমিয়ে ফেলার প্রয়োজনেই তাঁদের বাদ পড়তে হয়েছে। ওই যে শুরুতেই বলা হয়েছে, এই আর্জেন্টিনা দলের সাফল্যের রহস্য দলীয় একতা ও একাগ্রতা; সেটা তো মুস্সো, গঞ্জালেস, দমিঙ্গেজদের বিসর্জনেই স্পষ্ট।
ফাইনাল দেখতে কাতারগামী বিমানে চড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিও আপলোড করেছিলেন কোরেয়া, মুসসোরা। তাঁদের মনে তখন থেকেই লেগেছিল উৎসবের আমেজ। লাগবে নাই-বা কেন? বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ না মিললেও দীর্ঘদিন ধরে তারা তো আর্জেন্টিনা দলেরই অংশ। স্কালোনি যে দলটাকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন, সেখানে অবদান আছে তাঁদেরও। কোপা আমেরিকা ও ফিনালিসিমা জয় কিংবা টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার কীর্তি গড়ায় সহযোদ্ধা হিসেবে ছিলেন তারাও। শিষ্যদের পেয়ে খুশি কোচ স্কালোনিও ফাইনালের আগে বলেছিলেন, ‘ওরা নিজস্ব খরচে এখানে (কাতারে) এসেছে। নিকোলাস দমিঙ্গেজ, হুয়ান মুস্সো, লুকাস মার্তিনেজ, নিকোলাস গঞ্জালেস, হোয়াকিন কোরেয়া... তোমাদের পেয়ে আমরা গর্বিত। এটা (বিশ্বকাপ জয়) আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আনন্দ শোভাযাত্রা হতে চলেছে। সবাই এর অংশ হতে চেয়েছে।’
লুসাইলে ফ্রান্সের বিপক্ষে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই চলাকালে আর্জেন্টিনার সবাই রোমাঞ্চিত হয়ে পড়েছিলেন, অনেকে স্নায়ুচাপে ভুগেছেন। কিন্তু দলের প্রতি নিবেদন অক্ষতই ছিল। কারণ, আর্জেন্টিনা এখন আর ২৬ জনের একটা দল নয়, একতার প্রতীক। হয়তো তার চেয়েও বেশি কিছু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।