নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাত্র ১৫ মিনিটের তাক লাগানো সমাপণী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে গতকাল রাতে পর্দা নামলো কাতার বিশ্বকাপের। কাতারের রাজধানী দোহার আল খোরে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় এ আসরের পর্দা উঠেছিল গত ২০ নভেম্বর। মাসব্যাপী এ আয়োজনের মাধ্যমে সারাবিশ্বকে যেন একই সুতোয় গেঁথে ফেলেছিল মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট দেশটি। সেখানে বসেছিল মিলনমেলা।
দোহার লুসাইলে ৯০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার আইকনিক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল দিয়ে ভাঙলো যে মেলা। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় বিশ্বকাপের ফাইনাল শুরু হলেও এর প্রায় দেড়ঘণ্টা আগে অর্থাৎ রাত সাড়ে ৭টায় শুরু হয় কাতার বিশ্বকাপের সমাপনী অনুষ্ঠান। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা যার নামকরণ করেছে ‘অ্যা নাইট টু রিমেম্বার’। খুব দীর্ঘ নয়, সংক্ষিপ্ত সমাপণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেই সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আয়োজকরা।
মাত্র ১৫ মিনিটের অনুষ্ঠানের ভেন্যুতে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার মধ্যেই আমন্ত্রিতরা সবাই আসন গ্রহণ করেন। এই সময় আগে থেকেই নির্ধারণ করা ছিল। সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান হলেও বিনোদন জগতের অনেক তারকাকে দেখা গেছে বিশ্বকাপের সমাপনী অনুষ্ঠানে। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি দু’দিন আগেই কাতার পৌঁছান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘অ্যা নাইট টু রিমেম্বার’ নামে একটি গানের সংকলন চলে, যেখানে কাতার বিশ্বকাপের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো ভিডিওতে দেখানো হয়। বিশ্বকাপের আরেকটি গান ‘আর্বো’ গেয়েছেন পুয়ের্তো রিকার ওজুনা ও ফ্রেঞ্চ র্যাপার গিমস। প্রথম এবং শেষ গানের মাঝে কাতার বিশ্বকাপের থিম সং ‘হায়া হায়া’ গেয়ে দর্শকদের আনন্দে মাতিয়েছেন আমেরিকার গায়ক ডেভিডো এবং কাতারি গীতিকার আইশা। এরপরই ছিল আসল চমক। তিনজনের সঙ্গে মঞ্চে নাচতে আসেন নোরা ফাতেহি। তার সঙ্গী ছিলেন বালকিস, রহমা রিয়াদ এবং মানাল। ‘লাইট দ্য স্কাই’ গানের সঙ্গে নেচে তারা মঞ্চ মাতিয়েছেন।
২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে নানা বিতর্ক আর সমালোচনার মধ্যেও প্রস্তুতির কাজ থামায়নি কাতার। গত কয়েকটি বিশ্বকাপের সমান খরচ করতে হয়েছে তাদের। কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন করতে অবকাঠামো উন্নয়নসহ প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। দীর্ঘ একযুগের আয়োজন শেষ হলো মাত্র এক মাসের মহাযজ্ঞে। সেকেন্ড, মিনিট আর ঘণ্টার কাটা গড়িয়ে শেষ হয়েছে এই মহাআয়োজনের সবকিছু। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হলো মহাযজ্ঞের সব আয়োজন। ভাঙলো মিলনমেলা। বেজে উঠলো বিদায়ের করুণ সুর। বিশ্বকাপের জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য শনিবার থেকে সাজানো শুরু হয় দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামকে। আর কাল তাক লাগানো সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজকরা স্মরণীয় করে রাখল মরুর দেশের বিশ্বকাপকে। যে আয়োজনকে ঘিরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী গত একমাস ধরে ছিলেন মোহাচ্ছন্ন। তাবে বুঁদ হয়ে থাকা ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবারের আসরকে দিয়েছেন ‘সেরা’র খেতাব!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।