নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লিওনেল মেসিকে ছাড়া ফুটবল যেন ভাবাই যায় না। ইতোমধ্যে নাম লিখিয়েছেন পেলে-ম্যারাডোনাদের পাশে। তার যাত্রা শুরু বার্সেলোনা থেকে। খেলতেন মাতৃভূমি আর্জেন্টিনার ‘নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবে’।
১৩ বছর বয়সে নিজের দেশ আর্জেন্টিনা ছেড়ে স্পেনের বার্সেলোনায় পাড়ি জমান মেসি। ইউরোপে যাওয়ার কয়েক মাস আগে ‘ডায়ারিও লা ক্যাপিটাল’ নামে এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মেসি, এটি তার জন্মস্থান সান্তা ফে প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর রোসারিওভিত্তিক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম। সাক্ষাৎকারটিকে বলা হচ্ছে মেসির ‘জীবনের প্রথম সাক্ষাৎকার’। কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে সেই সাক্ষাৎকারের পেপারকাটিং এখন আর্জেন্টিনা ও স্পেনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
লা ক্যাপিটাল-এর সাক্ষাৎকারটির শুরু এরকম:
‘লিওনেল মেসি ১০ম বিভাগের খেলোয়াড় এবং তার দলের অ্যাটাকিং প্লেমেকার। সে শুধু নিউয়েলস অ্যাকাডেমির অন্যতম আপকামিং খেলোয়াড়ই নয়, তার সামনে বিপুল সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎও আছে। কারণ কম উচ্চতা নিয়েও সে এক-দুজনকে পাশ কাটিয়ে যায়, ড্রিবল করে, গোল করে—তবে সবচেয়ে বড় কথা, বল নিয়ে সময় কাটাতে সে ভালোবাসে।’
তার পুরো সাক্ষাৎকারটি নিচে দেওয়া হলো:
সাক্ষাৎকারটিতে মেসিকে তার প্রিয় নায়ক থেকে শুরু করে স্বপ্ন নিয়ে অনেকগুলো প্রশ্ন করা হয়।
নায়ক: দুজন, আমার বাবা হোর্হে এবং আমার গডফাদার (দত্তক নেওয়া পিতা) ক্লডিও।
প্রিয় কোচ: সবাই, এখন পর্যন্ত যাদের পেয়েছি- গ্যাব্রিয়েল, মোরালিস, ডমিঙ্গেজ, ভেচ্চো এবং করিয়া। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই আমি কিছু না কিছু শিখেছি।
প্রিয় ফিটনেস কোচ: পাবলো সানচেজ।
প্রিয় খেলোয়াড়: দুজন, আমার ভাই আর আমার কাজিন।
প্রিয় দল: নিওয়েল’স।
প্রিয় শখ: গান শোনা।
যে ধরনের গান প্রিয়: কোয়ারতেতো এবং কাম্বিয়া।
প্রিয় টিভি প্রোগ্রাম: প্রিমিসিয়াস।
প্রিয় ম্যাগাজিন: প্যাসিয়ন রোহিনেগ্রা (নিওয়েলসের ফ্যান ম্যাগাজিন)
প্রিয় বই: বাইবেল।
প্রিয় সিনেমা: বেবিজ ডে আউট।
ফুটবলের বাইরে অন্য প্রিয় খেলা: হ্যান্ডবল।
প্রিয় মডেল: নিকোল নিউম্যান।
প্রিয় খাবার: চিকেন ও সস।
প্রিয় বিষয়: স্প্যানিশ।
প্রিয় চাকরি: শারীরিক শিক্ষার (পিই) শিক্ষক।
লক্ষ্য: মধ্যমিক স্কুল শেষ করা।
আনন্দের উপলক্ষ: আমরা যখন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম।
শোকাবহ দিন: আমার দাদির মৃত্যু।
আশা: নিওয়েলসের হয়ে প্রথম বিভাগ খেলা।
প্রিয় স্মৃতি: আমার দাদি যখন আমাকে ফুটবল খেলতে নিয়ে গিয়েছিলেন।
স্বপ্ন: আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা।
বলার মতো গল্প: আমরা যখন পেরুতে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম।
মানবতা: যে জিনিস মানুষের কখনও হারানো উচিত নয়।
আর্জেন্টিনার যুবদল: তাদের হয়ে খেলতে পারলে খুব ভালো লাগবে।
পরিবার: আমার বাবা হোর্হে, মা সিলিয়া এবং আমার ভাইবোন রড্রিগো, নাতালিয়া ও মারিসোল।
বন্ধু: আমার সৌভাগ্য যে আমার অনেক বন্ধু আছে। নামগুলো বলতে শুরু করলে কারও না কারও নাম নিতে ভুলে যাবো।
তোমার জীবনে নিওয়েলসের মানে কী?: সবকিছু, সত্যি সবকিছু। সূত্র : ডেইলি মেইল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।