নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে আট বছর পর ফের ফাইনালে জায়গা করে নিলো আর্জেন্টিনা। ভক্তরা মনে করছেন এ ম্যাচে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি তার বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচটাই খেলেছেন। তার জাদুতেই দল জিতেছে ৩-০ গোলে। ম্যাচে নিজে এক গোল করে এবং ইউলিয়ান আলভারেজকে দিয়ে আরেক গোল করিয়ে সেমিফাইনালের ম্যাচসেরা হয়েছেন মেসিই। আর এই ম্যাচসেরা হয়ে মেসি গড়ে ফেলেছেন অনন্য এক ইতিহাসও। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে ১০টি ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতার কৃতিত্ব দেখালেন এই আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মেসির দারুণ পেনাল্টি শটেই প্রথম গোল পায় আর্জেন্টিনা। এরপর ইউলিয়ান আলভারেজকে দিয়ে তিনি করিয়েছেন তৃতীয় গোলটা। যদিও দলের দ্বিতীয় ও আলভারেজের প্রথম গোলটার পেছনে কিঞ্চিত অবদান ছিল মেসিরই। মাঝমাঠের কাছে আলভারেজকে বল ছড়ে দিয়েছিলেন মেসি, এরপরের কৃতিত্বের পুরোটাই পাওনা ম্যানসিটি ফরোয়ার্ডের। মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে আলভারেজ মাঝমাঠ থেকে একা তা নিয়ে গিয়ে করেছেন গোলটা। মাঝে দুই ডিফেন্ডারের ছোঁয়া লেগেছে তাতে, তাই মেসির নামে অ্যাসিস্টটা লেখা হয়নি। তবে আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলে অবদানের স্বীকৃতিটা ঠিকই পাবেন মেসি। দারুণ এক পিরোয়েট আর শোল্ডার ড্রপে ক্রোয়াট ডিফেন্ডার ইয়োসকো গেভার্দিওলকে ঘোল খাইয়ে, প্রতিপক্ষের আরো দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে আলভারেজকে বল বাড়িয়েছিলেন মেসি। বল পেয়ে জালে ঠেলতে ভুল করেননি আলভারেজ। ফলে এক গোল করে, আরেকটি করিয়ে মেসি বনে যান ম্যাচসেরা। চলতি বিশ্বকাপে মেসির এটা চতুর্থবারের মতো ম্যাচসেরা হওয়া। এখন পর্যন্ত এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরা হওয়ার কীর্তিটা তার নিজেরই। ২০১৪ বিশ্বকাপে ৪ বার ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মেসি। সেই রেকর্ডই ছুঁয়ে ফেলেছেন আবার। রেকর্ড আরো একটা হয়েছে, যা নেই অন্য কারো। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরা হওয়ার রেকর্ডটা আগেই ছিল তার দখলে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দখলে ছিল সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরা হওয়ার রেকর্ডটা, তিনি সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ৭ ম্যাচে। যা মেসি ছুঁয়ে ফেলেন এবার মেক্সিকোর বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেই। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনিই ম্যাচসেরা হয়ে পেছনে ফেলেন রোনালদোকে। মেসি সেখানেই থামেননি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও ম্যাচসেরা হন তিনি। এই পুরস্কার পান ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শেষ চারেও। তাতেই গড়া হয়ে গেছে অনন্য নজির। বিশ্বকাপে ম্যাচসেরা হওয়ার সংখ্যাটা মেসি নিয়ে গেছেন দুই অঙ্কের ঘরে!
সাত ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে দ্বিতীয়স্থানে আছেন রোনালদো। তিনে থাকা আরিয়েন রবেনের ম্যাচসেরার পুরস্কার ৬টি। কিলিয়ান এমবাপে, লুকা মদ্রিচ আর লুইস সুয়ারেজের এই কীর্তি আছে পাঁচবার করে। নেইমার, হ্যারি কেইন, এডেন হ্যাজার্ড, মিরোস্লাভ ক্লোসা, কেইসুকে হোন্ডা, হামেস রদ্রিগেজ, ওয়েসলি স্নেইডার, থমাস মুলার, পার্ক জি সুংদের মতো তারকারা এই পুরস্কার জিতেছেন ৪ বার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।