মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) রাজধানী কিনশাসায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১২০ জনে। প্রাথমিকভাবে এই সংখ্যা ৫০ জন বলে জানানো হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রয়টার্সের দেখা সরকারি একটি নথিতে এই তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারী বর্ষণের পর কিনশাসা শহরের আশপাশের সকল এলাকা কর্দমাক্ত পানিতে প্লাবিত হয়ে যায় এবং রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়কগুলোর মধ্যে এন১ হাইওয়ে রয়েছে যা কিনশাসাকে মাতাদির প্রধান সমুদ্র বন্দরের সাথে সংযুক্ত করেছে।
ডিআর কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এন১ হাইওয়ে ৩-৪ দিনের জন্য বন্ধ থাকতে পারে।
রয়টার্স বলছে, রাজধানী কিনশাসায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যার হিসাব রাখছে দেশটির জেনারেল ম্যানেজমেন্ট অব মাইগ্রেশন। এটি আফ্রিকার এই দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অংশ।
অবশ্য মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিন-জ্যাক এমবুঙ্গানি এমবান্ডা রয়টার্সকে বলেছেন, তার মন্ত্রণালয় ১৪১ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে গণনা করেছে তবে এই সংখ্যাটি অন্যান্য বিভাগের গণনা করা সংখ্যার সঙ্গে ক্রস-চেক করা দরকার।
কঙ্গোর সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া টুইটারে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। এসব ছবিতে প্রধান একটি রাস্তাকে পনিতে ডুবে গেছে বলে দেখা গেছে এবং জনতাকে সেদিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়।
দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আর দ্রুত নগরায়নের বিকাশ ঘটায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আকস্মিক বন্যার জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কিনশাসা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশটিতে প্রায় ভারী বর্ষণ আর বন্যা দেখা যায়।
এর আগে, ২০১৯ সালে কিনশাসায় মুষলধারে বর্ষণের কারণে সেখানকার নিম্নাঞ্চলের কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ওই সময় বন্যায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং অনেক বাড়িঘর ও সড়ক ধসে যায়। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।