ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে প্রথমার্ধ শেষেই ফাইনালের সুবাস পেতে শুরু করেছে আর্জেন্টিনা দল।পেনাল্টি থেকে মেসির রেকর্ড গড়া গোলের পর আলভারেজের অনবদ্য এক গোলে আলবিসেলেস্তেরা প্রথমার্ধ শেষ করেছে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে। বিরতির পর মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া নাটকীয় কিছু করতে না পারলে ২০১৪ এর পর আবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে মেসিরা।
লুসাইল স্টেডিয়ামে চলমান এ ম্যাচের শুরুটা দুই দলই করেছে কিছুটা খাপছাড়া ভাবে।বাড়তি সর্তক দুই দলই দ্রুত আক্রমণে উঠছিল সময় নিয়ে।ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণ আসে ২৫ তম মিনিটের মাথায়।বক্সের সামান্য বাইরে থেকে এনজো ফার্নান্দেজের নেওয়া জোরালো শট ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকান ক্রোয়েশিয়ার গত ম্যাচের নায়ক গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।
তবে একটু পরেই ভুল করে বসেন এই ক্রোয়েট গোলরক্ষক। বল নিয়ে ছুটে আসা আলভারেজকে ঠেকাতে গিয়ে করে বসেন ফাউল।পেনাল্টির বাশি বাজান রেফারি।স্পটকিক থেকে নিজের স্বভাবজাত ভঙ্গিতে লিওনেল মেসি লক্ষ্যভেদ করে দলকে লিড এনে দেন।এই গোলের ফলে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটি নিজের নামে করলেন দলের এই তারকা ফরোয়ার্ড। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে এখন মেসির গোল সংখ্যা ১১।এতদিন পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের মালিক গ্যাব্রিয়েল বাতিস্ততার(১০)।
দলকে পেনাল্টি এনে দেওয়া আলভারেজ কিছুক্ষণ পরে দুর্দান্ত এক গোলে নিজেই স্কোরশিটের নাম লেখান।৩৯ মিনিটে নিজ অর্ধ থেকে বল নিয়ে দ্রত পাল্টা আক্রমণে যান এই ফরোয়ার্ড। ক্ষিপ্র গতিতে সবাইকে পেছনে ফেলে তিনি বল নিয়ে ঢুকে যান ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সে।সেখানে ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডার সোসার দুর্বল ক্লিয়ারেন্সের সুযোগ নিয়ে লিভাকোভিকে ফাঁকি দিয়ে জালে বল পাঠান আলভারেজ।
দুই গোল হজম করার আগ পর্যন্ত বল পজিশন ও মাঝমাঠ দখলে আধিপত্য দেখালেও উল্লেখযোগ্য কোন আক্রমণ তৈরি করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া।