বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত গৃহবধূর নাম তানিয়া আক্তার (২১)। সে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী আবদুল মমিনের মেয়ে। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় নিহত গৃহবধূ তানিয়া আক্তারকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ্যাম্বুলেন্সে করে তার বাপের বাড়ির পাশের সড়কে লাশ ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করলে এ্যাম্বুলেন্স চালকসহ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ্যাম্বুলেন্সে লাশ রেখে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী আবদুল মমিনের মেয়ে তানিয়া আক্তারের সাথে গত চার মাস পূর্বে একই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মনির হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের একদিন পর তানিয়া তার পুরনো প্রেমিক উপজেলার পেড়িয়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের হায়াতুন নবীর ছেলে রাসেল আহম্মদের হাত ধরে স্বামী মনির হোসেনের ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে রাসেলকে বিয়ে করে। রোববার সন্ধ্যায় স্বামী রাসেল আহম্মেদসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তানিয়া আক্তারের লাশ লাকসাম ফেয়ার হেলথ হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সে (ঢাকা মেট্রো ছ- ৭১১২৬৫) করে তার বাবার বাড়ির পাশের সড়কে ফেলে রাখার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী দেখে ধাওয়া করলে লাশের সাথে থাকা স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং এ্যাম্বুলেন্সের চালক এ্যাম্বুলেন্সে লাশ রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে স্বামীর পক্ষের লোকজনের দাবি তানিয়া বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু তানিয়ার মা ছালেহা বেগম ও স্বজনদের দাবি, তানিয়াকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তানিয়ার মা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।