মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধান জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ ছিল ইরাক ও সউদী আরব। তবে বর্তমানে এই দুই দেশকে পেছনে ফেলে ভারতের প্রধান তেল সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে রাশিয়া। অক্টোবরের পর নভেম্বরেও ভøাদিমির পুতিনের দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করেছে ভারত। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত আমদানিকৃত তেলের মাত্র ০.২ শতাংশ আসত রাশিয়া থেকে। সেই অঙ্কটা বিপুলভাবে বদলে গেছে নভেম্বরে।
জ্বালানি তেল সংক্রান্ত সংস্থা ভরটেক্সার একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নভেম্বরে রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ৯ লাখ ৯ হাজার ৪০৩ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে ভারত। অন্য দিকে, ইরাক থেকে দিনে ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪৬১ ব্যারেল এবং সউদী আরব থেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার ৯২২ ব্যারেল তেল আমদানি করা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পরেই রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে চাপে ফেলতে তাদের তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমা দেশগুলো। পাল্টা চাল হিসাবে রাশিয়াও তেলের দাম বিপুল কমিয়ে দেয়। তার পর থেকেই রুশ তেলের উপর বাড়তে থাকে ভারতের নির্ভরতা।
গত বছর ডিসেম্বরে রাশিয়া থেকে দিনে মাত্র ৩৬ হাজার ২৫৫ ব্যারেল তেল আমদানি করত ভারত। অন্য দিকে, ইরাক এবং সৌদি আরব থেকে আসত যথাক্রমে প্রায় ১০ লক্ষ এবং সাড়ে ৯ লক্ষ ব্যারেল। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই এই পরিসংখ্যান বদলাতে শুরু করে। এপ্রিলে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় দিনে আড়াই লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি। জুনে তা প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে যায়।
ইউক্রেনে হামলার পরেও কেন রাশিয়া থেকে তেল কিনছে ভারত, এই প্রশ্নে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে নয়াদিল্লিকে। রাশিয়াকে ভারত সাহায্য করছে, এমন অভিযোগও উঠেছিল। চাপ এখনও যথেষ্ট রয়েছে। জি৭ গোষ্ঠী রাশিয়া থেকে তেল কেনায় বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর চেষ্টা করছে ভারত-সহ বেশ কিছু দেশের ওপরে।
এই বিতর্কের মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ইউরোপ এক বিকেলে রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ তেল কেনে, ভারত তা আমদানি করে এক মাসে। তিনি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন, ইউরোপের কোনও অধিকারই নেই এ ব্যাপারে ভারতকে উপদেশ দেয়ার।
দেশটির কেন্দ্রীয় পেট্রেলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর বক্তব্য, তেল পাওয়া যাচ্ছে বলেই ভারত কিনছে। প্রশ্নটা নৈতিকতার নয়, চাহিদার। কিন্তু এর পরেও বিতর্ক থামেনি। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এল ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানির এই রিপোর্ট। সূত্র: এএফপি, আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।