ম্যাচের তখন ৮১ তম মিনিট চলছে । ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ড তখন গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ছুটছে ।এমন সময় নিজেদের বক্সে ফ্রান্সের থিও হার্নান্দেজ ইংল্যান্ড দলের ম্যাসন মাউন্টকে ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
পেনাল্টি নিতে এলেন ইংলিশ দলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত স্পটকিক স্পেশালিষ্ট হ্যারি কেইন। বিশ্বকাপ ইতিহাসে তার থেকে বেশি (৪)স্পটকিকে লক্ষ্যভেদ কেউ করতে পারেনি। ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা তাই নির্ভার ছিলেন এই ভেবে যে দলের সবচেয়ে তারকা স্ট্রাইকার আরও একবার সফল পেনাল্টি নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরাবেন। তবে সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে স্পট কিক থেকে তার নেওয়া শট গোলপোস্টের অনেক উপর দিয়ে দর্শক সারিতে চলে যায়। সেই সাথে ফিকে হয়ে যায় ইংলিশদের বিশ্বকাপ জেতার সপ্নও। বাকি কয়েক মিনিটে প্রাণপণ চেষ্টা করেও আর গোলের দেখা পাননি র্যাশফোর্ড-স্টার্লিংরা।
ফলে ২-১ ব্যবধানে জয়ে তুলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্স।দলটির হয়ে গোল করেছেন অরেলিঁয়ে চুয়ামেনি এবং অলিভিয়ের জিরু।দুটি গোলেই অ্যাসিস্ট্যান্ট ভূমিকায় ছিলেন আঁতোয়ান গ্রিজমানের।কেইন শেষ মুহূর্তে একটি পেনাল্টি মিস করেলেও প্রথমার্ধে আরেক পেনাল্টিতে দলের একমাত্র গোলটি করেন।
এমাবাপে-জিরুড-গ্রিজম্যানরা মাঠে যেভাবে পারফর্ম করছেন তাতে এবারও বিশ্বকাপ শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার ফ্রান্স।