গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়ে অন্যান্য দিনের তুলনায় বাস চলাচল একেবারেই কম। যা চলছে তা স্বল্প দূরত্বে। এ সুযোগে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া হাঁকাচ্ছেন রিকশা-সিএনজি চালকরা।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সাইনবোর্ড, মাতুয়াইল, রায়েরবাগ, শনির আখড়া এবং যাত্রাবাড়ী ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থেকে কারওয়ান বাজারের উদ্দেশে আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়েও বাস পাননি বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ হাছান। বাড়তি ভাড়ার কারণে সিএনজি করেও যেতে পারছেন না তিনি।
মোহাম্মদ হাছান বলেন, অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। আজকে রাস্তায় বাস একেবারে নেই বললেই চলে। এ জন্য বাধ্য হয়েই ভাবলাম সিএনজি করে যাবো। তবে যাত্রাবাড়ী থেকে কারওয়ান বাজার ২৫০-৩০০ টাকা ভাড়া হলেও সিএনজি চালকরা ভাড়া হাঁকাচ্ছেন ৬০০ টাকা! এত টাকা ভাড়া দিয়ে অফিসে যাওয়ার সাধ্য নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল হোসেন নামের একজন সিএনজি চালক ঢাকা বলেন, আমরা আজকে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। সেজন্যই ভাড়া একটু বেশি চাচ্ছি।
রায়েরবাগে কথা হয় ইলিয়াস নামের এক শিক্ষার্থীর সাথে। তিনি বলেন, এখান থেকে আমার বাসা পর্যন্ত রিকশা ভাড়া ২৫-৩০ টাকা হলেও তারা আজকে চাচ্ছে ৫০ টাকা। রাস্তায় বাস না থাকায় দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন রিকশা চালকরা।
গন্তব্যে গণপরিবহন কম এবং ভাড়া বেশি হওয়ায় হাজার-হাজার মানুষ হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। যাত্রাবাড়ী থেকে শ্রীনগর যাবেন ইসরাফিল নামের এক যুবক। তবে রাস্তায় বাস না পেয়ে তিনি হাঁটা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, বাস পাচ্ছি না, তাই হেঁটেই যাচ্ছি।
এদিকে রাজধানীর ঢাকায় বাস বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, মালিকরা হয়তো আতঙ্কের কারণে গাড়ি কম চালাচ্ছেন। যাত্রী না থাকায় দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।