গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ মাঠ। এ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হবে বেলা ১১টায়। গতকাল (শুক্রবার) বিকেল থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। আজ ভোর হতেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা।
রাতেই প্রায় ভরে উঠেছিল গোলাপবাগ মাঠ। ভোর হতেই বিএনপিকর্মীদের উপস্থিতি মাঠ ছাড়িয়ে নেমেছে সড়কে। বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
তবে সমাবেশে আসার পথে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।
জাভেদ মিল্টন নামে দলটির এক নেতা বলেন, খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বা কয়েকজন কর্মী একসঙ্গে হয়ে সমাবেশস্থলে আসার পথে বাধার মুখে পড়ছেন। অকারণেই জিজ্ঞাসাবাদের নামে তল্লাশি করা হচ্ছে।
আশরাফ উদ্দিন নামে আরেক নেতা বলেন, আমরা একসঙ্গে শতাধিক নেতাকর্মী এসেছিলাম। তবে সমাবেশস্থলে একসঙ্গে আসতে পারিনি। আসতে হয়েছে পৃথক পৃথকভাবে। অনেকবার চেকিংয়ের মুখেও পড়েছি।
শুক্রবার মধ্যরাতে সমাবেশস্থলে এসেছেন মানিকগঞ্জের হাবিব। তিনি বলেন, পথে পথে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ছিল। আমিসহ তিনজন মুরগির গাড়িতে করে গুলিস্তান কাপ্তানবাজারে আসি। এরপর পায়ে হেঁটে সমাবেশে এসেছি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকায় গণসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। দলটি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চায়। তবে পুলিশ নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। এ নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহের উত্তেজনার পর গতকাল বিকেলে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পায় দলটি। এরপর থেকেই সেখানে সমবেত হতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।