গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিশেষ সংবাদদাতা : কথা রাখেননি মেয়র সাঈদ খোকন। গত ১০ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ৪৯নং ওয়ার্ডে ‘জনগণের মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে গোলাপবাগ মাঠ খেলার জন্য অবমুক্ত করা হবে। মেয়রের সে কথায় আশ্বস্ত হয়েছিলেন গোলাপবাগ মাঠ রক্ষা আন্দোলন কমিটিসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এর মধ্যে চার মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু গোলাপবাগ মাঠের দখল ছাড়েনি দখলদাররা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি এ মাঠকে গিলে ফেলার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, ২০০৫ সালের মে মাসে যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য তৎকালীন সরকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অরিয়ন ও সিমপ্লেক্সকে গোলাপবাগ মাঠটিকে ব্যবহার করার জন্য ইজারা দেয়। ২০১৩ সালে ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হলেও অরিয়ন গ্রুপ মাঠের দখল ছাড়েনি। নির্মাণ সামগ্রীসহ পুরনো গাড়ি ও যন্ত্রপাতি দিয়ে মাঠটি দখল করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছরের ৭ অক্টোবর তারা জানতে পারেন, মাঠের একটা বিশাল অংশে সিটি করপোরেশনের সুইপার কলোনী নির্মাণ করা হবে। তখনই গোলাপবাগ মাঠ রক্ষা আন্দোলন এবং এলাকার তরুণ ও যুবকেরা মিলে এই মাঠ রক্ষার দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে। তারই অংশ হিসেবে এলাকাবাসী গত বছরের ৯ অক্টোবর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর ১১ অক্টোবর এলাকার কাউন্সিলরসহ সকল দলের নেতৃস্থানীয় সবাই এক হয়ে গণসমাবেশ করে। ওই দিন সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে গোলাপবাগ মাঠ রক্ষা আন্দোলন একটি গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে।
এতকিছুর পরেও আশানুরূপ ফলাফল না পেয়ে গোলাপবাগ মাঠ রক্ষা আন্দোলন ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যৌথভাবে গত বছরের ২০ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারী গোলাপবাগ মাঠ রক্ষা আন্দোলন ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এলাকাবাসী কে নিয়ে যৌথভাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। আন্দোলনরত অবস্থায় গোলাপবাগ মাঠ রক্ষা আন্দোলনের কর্মীদের নানা মহল থেকে হুমকি-ধমকিও দেয়া হয় আন্দোলন বন্ধ করার জন্য। ১৮ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে আবারও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। স্থানীয়রা জানান, গোলাপবাগ মাঠ রক্ষা আন্দোলনের তীব্র আন্দোলনের ফলে দখলদাররা মাঠের একটি ক্ষুদ্র অংশ অবমুক্ত করে। কিন্তু মাঠের সিংহভাগ এখনও তারা দখল করে রেখেছে। এলাকাবাসী জানান, দখলদাররা মাঠটি না ছাড়লে আগামীতে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন। এ ব্যাপারে তারা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।