নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একটা গুঞ্জন কাতারের বিশ্বকাপ পাড়ায় খুবই চাউর ছিল। জাপানের বিপক্ষে ইচ্ছে করে ম্যাচটা হেরেছিল স্পেন! যেন পরবর্তী দুই রাউন্ডে ক্রোয়শিয়া এবং ব্রাজিলকে এড়ানো যায়। মাঠের বাইরের ট্যাকটিস খারাপ না, তবে লুইস এনরিকের মাঠের কৌশল যে আর চলছে না। সেই একঘেয়ে তিকিতাকাতে কি আর বিশ্বকাপ জেতা যায়? গতরাতে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শেষোলর ম্যাচে কঠিন এক শিক্ষাই পেলো গোটা স্পেন। কিন্তু বড্ড দেরি হইয়ে গেলে যে! এখন মাদ্রিদের প্লেন ধরা ছাড়া দলটির আর উপায় নেই। নির্ধারিত সময় এবং পরে অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র থাকার পর কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট নির্ধারণ করা হলো ট্রাইবেকারে। সেখানে দুইটা শট ঠেকিয়ে দেন মরোক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। ৩-০ ব্যবধানে জিতে শেষ আটে নাম লেখালো মরোক্কো।
মরোক্কোর মূল ভূখন্ডের সেউটা, ম্যালিলিয়া, প্যারোজিল নামে বিশাল কিছু শহর ও অঞ্চল দখল করে রেখেছে স্পেন। তাই এই ম্যাচটা সাধারণ একটা ম্যাচের চেয়ে অনেক বেশি কিছু ছিল মরোক্কোর জন্য। সেই লড়াইয়ে মরোক্কো গড়ল অবিশ্বাস্য এক কীর্তি! অকল্পনীয় ভাবে স্পেনের বিপক্ষে লড়াই জিতে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শেষ আটে জায়গা করে নিল, এই আসরের আফ্রিকার সবশেষ প্রতিনিধিরা। মরক্কো এই অর্জনকে কীভাবে বর্ণনা করবে কে জানে! যে বিশেষণে বিশেষায়িত করুক বা যেই বাক্যেই বাধুক না কেন, কোনোটিকেই বাড়াবাড়ি বলে মনে হবে না। গ্রুপ পর্বে বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়াকে টপকে গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ ষোলোতে উঠেই চমক দেখিয়েছে জিয়াশ-হাকিমিরা। কিন্তু মূল চমক দেখালো স্পেনের বিরক্তিকর তিকিতাকাকে হটিয়ে।
খেলা চলছিল ঢিমেতালে। স্পেন তাদের গোলের মূল অস্ত্র আলভারো মোরাতাকে বেঞ্চে রেখে আবারও নিতিবাচক শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল। আর খেলা শুরু কিছুক্ষণ পরেই বুঝা গেল ফলাফল আসতে পারে টাইব্রেকারের করুণ নির্ধারনীর মাধ্যমে। স্পেনের বলের দখল চাই ই চাই। এই দখল প্রতিষ্ঠা করতে দারুণ আক্রমণকে ধূলিসাত করে, স্প্যানিশরা পিছনে বল পাস করতে দ্বিধা বোধ করে না। আরেকটু সূক্ষভাবে বললে একরিকের কৌশল এটি। মাঝেমাঝে দারুন ফল আসে। বিশেষ করে আক্রমণাত্বক দলগুলো ধৈর্য ধারণ না করে গোল পেতে চায়। সেই সুযোগ কাজে লাগায় স্পেন। তবে গতরাতে মরক্কো নিজেদের বক্সের সামনে তাঁবু গেঁড়ে প্রেসিং করেছে আর পাল্টা আক্রমণে আঘাত হানার চেষ্টা অব্যহেত রেখেছে। এই করেই ৯০ মিনিট গেল। সেভাবেই কাটলো অতিরিক্ত ৩০ মিনিটও। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে স্পেনে একটা অশ্নি সংকেত পেল। বিশ্বকাপে আগের ৭ টাইব্রেকারে পরে যারা শট নিয়েছে, তারাই জিতেছে। গতকাল স্প্যানিশদের আগে শট নিতে হলো যে!
গোলশূন্য ড্র ম্যাচে টাইব্রেকারে একবারের জন্যও বল জালে জড়াতে পারল না স্পেনের ফুটবলাররা। প্রথম তিন শটের তিনটিতেই সারাবিয়া, সোলেরের এবং কাপ্তান বুসকেতসের শটও ফিরিয়ে দেন মরক্কোর গোলকিপার। একটু ভুল হলো সারেবিয়ার শটটাতে সঠিক দিকেই ঝাপ দিয়েছিলেন ইয়াসিন, তবে তা বারে প্রতিহত হয়ে। মরক্কো প্রথম চার শটের মধ্যে শুধু তৃতীয়টিতেই ব্যর্থ ছিল। চতুর্থ শটে আশরাফ হাকিমির শট জালে জড়াতেই বুনো উল্লাসে আত্মহারা হয় মরোক্কো। তাদের এই ইতিহাস গড়ার রাতে গোলরক্ষকের সঙ্গে আরেক ফুটবলারের নামও নিতে হবে। তিনি ফিউরেন্থিনিয়ার খেলা সোফিয়ান আব্রাবাতের। এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারই মাঝ মাঠের দখল রেখে গোটা সময় কক্ষ পথে রেখেছিল দলকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।