নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সহজ ম্যাচ কঠিন করে শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়ার নজির ভুরিভুরি। প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে শেষে গিয়ে হৃদয় ভাঙার গল্প লেখা হয়েছে অনেক। সে তালিকায় যুক্ত হতে পারত আরও একটি ম্যাচ। যা হতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে দলকে ১ উইকেটে জিতিয়েছেন মিরাজ। শেষ উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানের জুটি গড়েন তিনি। সফল রান তাড়ায় দশম উইকেটে এটিই বাংলাদেশের রেকর্ড। বল হাতে ১ উইকেটের পর ৪ চার ও ২ ছয়ে ৩৯ বলে ৩৮ রান করে জয়ের নায়ক মিরাজ। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ২ চারে ১১ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন মুস্তাফিজ। অবধারিতভাবে ম্যাচসেরার পুনস্কার ওঠে মিরজের হাতেই। সেই মঞ্চেই স্পিনিং অলরাউন্ডার শোনালেন আশাবাদী বক্তব্য, তীরে গিয়ে তরী ডোবানোর দিন শেষ বাংলাদেশের!
এক পর্যায়ে ৪ উইকেটে ১২৮ থেকে ৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত পরাজয়ের দুয়ারে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুস্তাফিজকে নিয়ে শেষ উইকেটে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়বেন মিরাজ, তা ছিল দ‚রতম কল্পনা। সেটি বাস্তব করার পর সামনের দিনগুলোতে ধারা বজায় রাখার আশা মিরাজের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে উচ্ছ¡াসভরা কণ্ঠে বললেন, নতুন পথে যাত্রা হলো শুরু, ‘এই জয় আমার ক্যারিয়ারে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা বারবার ক্লোজে গিয়ে হারছিলাম। এমন অনেক ম্যাচ আমরা হেরেছি। কিন্তু আজকে আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি। খুবই ভালো লেগেছে। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে এমন একটা ম্যাচ। আমার শুধু বিশ্বাস ছিল। অবশ্যই এরকম একটা ম্যাচ জেতা আমাদের জন্য দরকার ছিল। এরপর থেকে ইনশাআল্লাহ আরও ভালোভাবে কামব্যাক করব। গত কয়েক বছরে আমরা ভালো খেলছি। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটে। আমরা খুব সম্ভবত ভারতে ২ রানে হেরেছি (আসলে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে, ৩ রানে)। আরেকটি ম্যাচ ছিল বিশ্বকাপে। সেগুলো দুর্ভাগ্যজনক ছিল। আমি মনে করি, ক্লোজ ম্যাচ জেতার এটি কেবল শুরু। আমরা খুব খুশি।’
এর আগে ¯্রফে দুইবার ১ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। দুটিই ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে। প্রায় ১৩ বছর পর সেটির পুনরাবৃত্তি ঘটাল লিটন দাসের দল। প্রথমটি হারারে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটেই ২৩৮ রান করে ফেলে বাংলাদেশ। তবে ৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদ ডেকে আনে হাবিবুল বাশারের দল। পরে দশম উইকেটে ৮ বল খেলে বাকি থাকা ৩ রান করেন আব্দুর রাজ্জাক ও শাহদাত হোসেন।
একই দলের বিপক্ষে ২০০৯ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দেন নাঈম ইসলাম। সেদিন ২২২ রানের লক্ষ্যে ১৮৭ রানে সাজঘরে ফিরে যান বাংলাদেশের ৯ ব্যাটসম্যান। তখনও ৩১ বলে করতে হতো ৩৫ রান। ফলে উইকেট বাঁচিয়ে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করতে হতো তাকে। নাজমুল হোসেনকে নিয়ে দশম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এক ওভার হাতে রেখেই সে কাজ সারেন নাঈম। চামু চিবাবার করা ৪৮তম ওভারে পরপর তিন ছক্কায় জয় প্রায় নিশ্চিত করেন তিনি। ক্রিস্টোফার এমপফুর করা পরের ওভারে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান নাঈম। শেষ পর্যন্ত চারটি করে চার ও ছক্কায় ৯০ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এবার ২০২২ সালে এসে জিম্বাবুয়ের বাইরে প্রথম দল হিসেবে ভারতের বিপক্ষে ১ উইকেটের জয় পেল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে ১ উইকেটে জয়ের ৬৬তম ঘটনা এটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।