নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্রাজিল থেকে কলম্বিয়া, ইথিওপিয়া থেকে সৌদি আরব, বিশ্বকাপ দেখতে আসা নারী ভক্ত-সমর্থকরা কাতারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের মতো পশ্চিমা দেশ, যারা কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনে ঘোর বিরোধী ছিল, সেসব দেশের নারীরাও প্রশংসা করেছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থার। আন্দ্রিয়া এম নামে যুক্তরাষ্ট্রের এক সমর্থক বলেন, ‘ইউএস মিডিয়া মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে যা বলে এখানে এসে তার চেয়ে ভিন্ন কিছুর অভিজ্ঞতা হলো আমার। আমি মাঝরাতেও রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে হাঁটতে পারছি। যা আমি নিজ দেশে পারি না।’
কাতারে রাত ১০টায় অনেক ম্যাচ খেলা হচ্ছে। স্টেডিয়াম থেকে বের হতে হতে মাঝরাত হয়ে যায়। এছাড়া দোহার বিভিন্ন স্পটে জায়ান্ট স্ক্রিনেও খেলা দেখানো হয়। এসব জায়গায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ফুটবল দেখেন। এখন পর্যন্ত কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। তারা বলছে, নাম্বিও ক্রাইম ইনডেক্সের ডাটা অনুযায়ী নিরাপত্তায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দোহা।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কাতারে যাওয়া জয় এনকুনা বলেন, ‘আমাদের দেশে অপরাধের হার অত্যধিক। বিশেষত নারীদের প্রতি।’ সরকারি জরিপ অনুযায়ী গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় খুন হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি নারী।
৩৯ বছর বয়সী এনকুনা বলেন, ‘আমরা কখনোই সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে বের হই না। এখানে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে রাত ৩টায়ও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছি। কেউ আমাদের একটা কথা পর্যন্ত বলেনি।’ ব্রাজিলের ফ্যান তালিয়া লোপেজ বলেন, ‘আমি কলম্বিয়া থেকে এসেছি। এখানকার পাবলিক প্লেসে অনেক পুরুষের আনাগোনা। তবে প্রত্যেকেই আমাকে সম্মান দেখিয়েছে।’ সৌদি আরবের ডালিয়া আবুসুল্লাহই বলেন, ‘নারীরা যেন স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে বিশ্বকাপ দেখতে পারে কাতার এটা নিশ্চিত করতে পেরেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।