Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্রোহের জেরে নতিস্বীকারের ইঙ্গিত! হিজাব আইন পর্যালোচনা শুরু ইরানে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:১২ পিএম

বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ ইরান। পালটা, বিদ্রোহ দমনে অমানুষিক অত্যাচার চালাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনশোর বেশি মানুষ। এ পরিস্থিতিতে কি দেখা যাচ্ছে বরফ গলার ইঙ্গিত? ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, সেদেশের পার্লামেন্টে বহু দশকের পুরনো হিজাব আইনটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ঠিক কোন দিকটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা তিনি পরিষ্কার না করলেও শেষ পর্যন্ত বিপ্লবের আঁচের সামনে প্রশাসন মাথা নত করতে পারে, এমন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।

ঠিক কী জানিয়েছেন ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল? তার কথায়, `বিচারবিভাগীয় দপ্তরের সঙ্গে পার্লামেন্টের সাংস্কৃতিক কমিশন এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে দেখছে। আইনটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন কিনা তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।’ ঠিক কী ধরনের পরিবর্তনের কথা বলতে চাইছেন, তা অবশ্য পরিষ্কার করেননি তিনি। কিন্তু জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি বিদ্রোহের মুখে পড়ে নত হবে প্রশাসন। উত্তরের জন্য আপাতত অপেক্ষায় ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে বিদ্রোহের চাপে পড়ে ইরান প্রশাসন ইতিমধ্যেই নীতি পুলিশ বিভাগটি বাতিল করে দিয়েছে। যা বোধহয় প্রমাণ করে দিচ্ছে, কতটা চাপ রয়েছে সরকারের উপরে।

উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশের মারে মৃত্যু হয় তরুণী মাহসা আমিনির। তারপর থেকেই দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদী মিছিল। স্বৈরশাসকের বিরোধিতায় ইটালির বুকে তৈরি হওয়া ‘বেলা চাও’ গানটি গেয়ে ইরানের রাস্তায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন আরব দুনিয়ার মেয়েরা। হিজাব বিরোধী সেই আন্দোলনে শামিল পুরুষদের একাংশও। তাদের কণ্ঠেও ‘বেলা চাও’। এহেন প্রতিবাদের ভিডিও নিয়ে এখন নেটদুনিয়ায় জোর চর্চা।

প্রশাসনের রক্তচক্ষুতে গিয়েছে তিনশোর বেশি মানুষের প্রাণ। যদিও সরকারি হিসেবে বলছে মৃতের সংখ্যা দুশোর আশপাশে। পাশাপাশি তেহরানের দাবি, এই বিক্ষোভে আসলে ষড়যন্ত্র। এতে হাত রয়েছে আমেরিকার। একইসঙ্গে সরকারের আরও দাবি, এই আন্দোলনকে মদত দিচ্ছে ‘কোমলা’ বলে ইরানের একটি বামপন্থী সংগঠন এবং বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী। শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহের আগুনে সরকার আইন বদলায় কিনা আপাতত সেদিকেই চোখ সারা বিশ্বের। সূত্র: টাইমস নাউ।



 

Show all comments
  • Modest dress code is essential in stead of hijab and Burkha. ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:২৭ পিএম says : 0
    Hijab and Burkha should be avoided. Modest dress is a essential demand of mass people of the world.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরানে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ