গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে ওয়াসার স্যুয়ারেজ লাইন আছে কিনা বা স্যুয়ারেজ সিস্টেম কোথায় যাচ্ছে এসব বিষয়ে জানেন না গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন স্টিল স্ট্রাকচার নিউ এরা ডেভেলপমেন্ট-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী উপরোক্ত বিষয়টি নিজেই জানেন না বলে জানান।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ঢাকা সেন্টার ও স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, রাজধানীতে ওয়াসার স্যুয়ারেজ সিস্টেম কোথায় যাচ্ছে আমি জানি না। স্যুয়ারেজ লাইন আছে কিনা তাও জানি না। ওয়াসার কোনো ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তো দেখি না। একটা আছে পাগলা এলাকায়, কিন্তু সেখানে স্যুয়ারেজের কয়টা লাইন গেছে তা আমার জানা নেই।
বর্তমানে সকল নতুন ভবনে নিজস্ব স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট রাখার জন্য রাজউককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়াসা কি করলো না করলো সেটা দেখে লাভ নেই। সকল ভবনে নিজস্ব ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বানাতে হবে। উন্নত বিশ্বে এটা প্রচলিত, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে প্রক্রিয়াজাত করে সেই পানিটা গার্ডেনিংয়ে ব্যবহার করা হয়।
আমাদের দেশে জায়গা কম মানুষ বেশি, তাই উপরের দিকে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন ভবন এক সময় ৬ তলার উপরে চিন্তাই করতেন না। বর্তমানে সকল ভবনই ২০ তলার উপরে নির্মিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে একটা এনআরবি ভবন হবে ৪০ তলা। পূর্বাচলে ৭০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট করা হবে যেখানে সবগুলো ভবনই হবে ৩৫ তলার উপরে। ৫০ তলা পর্যন্ত হতে পারে। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পূর্বাচলে ৭১তলা বিশিষ্ট দুইটি আইকনিক টাওয়ার নির্মাণের টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এসব ভবনগুলোতে আমরা স্টিল স্ট্রাকচারে যেতে পারি।
স্টিল স্ট্রাকচার হলে ভবনগুলো নির্মাণে ব্যয় ও সময় সাস্ত্রয়ীর পাশাপাশি ভূমিকম্প সহনশীল হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তারা শুধু থাকার জায়গা চান। উত্তরা, পূর্বাচল মিলিয়ে আমরা মোট ১ লাখ অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করছি। থাকার জন্য একটা বেডরুমই তো চাই, আরতো কিছু না। বর্তমানে যত ভবন হবে সবগুলো হাইরেজ হবে এবং গ্রীনস্পেস থাকবে।
২০২১ সালে মধ্যম ও ৪০ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে স্টিল স্ট্রাকচার ছাড়া সম্ভব নয়। কারণ আমাদের হাতে সময় কম। সামনের সব ভবন নির্মাণে আমরা স্টিল স্ট্রাকচারে যাওয়ার চেষ্টা করবো বলেও জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেনÑ প্রকৌশলী জাকির হোসেন রবি উল্লাহ প্রিন্স, শাহজাহান খাদেম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।