নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপ জমজমাট। কোস্টারিকাকে হারিয়েও জার্মানির মতো দলকে ছিটকে যেতে হয়েছে ফুটবলের মহারণ থেকে। তাই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। কিন্তু ওই ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে রইল অন্য এক কারণেও। জার্মানি-কোস্টারিকা ম্যাচে তিন রেফারিই ছিলেন মহিলা। পুরুষদের বিশ্বকাপে এটা একটা রেকর্ড।
গত মঙ্গলবারই ফিফার তরফে ঘোষণা করা হয় স্টেফানি ফ্র্যাপার্ট, নিউজা ব্যাক ও কারেন দিয়াজ, এই তিন মহিলাকেই দেখা যাবে জার্মানির ম্যাচ পরিচালনা করতে। ৩৮ বছরের স্টেফানি অবশ্য এর আগে গ্রুপ সি’র মেক্সিকো বনাম পোল্যান্ড ম্যাচেও রেফারি হিসেবে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু জার্মানি ম্যাচে তার সহযোগী হিসেবে দেখা গেল বাকি দু’জনকে। তৈরি হল ইতিহাস। এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের অফসাইড স্পেশালিস্ট হিসেবেও ছিলেন একজন মহিলা। তার নাম ক্যাথরিন নেসবিট।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে কাতার সরকারের তরফে তাদের ট্যুরিজম ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হয়, যারা কাতারের বাসিন্দা নন, সেই মহিলাদের এখানকার প্রথাগত আবায়া নামের কালো পোশাক পরতে হবে না। কিন্তু এমন পোশাকও না পরা বাঞ্ছনীয়, যেখানে কাঁধ, পেট, পিঠ কিংবা হাঁটু দৃশ্যমান হয়।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশে বিশ্বকাপের আসর বসায় নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে প্রথম থেকেই। ফিফার ওয়েবসাইটে স্পষ্ট করা হয়েছে, যে দেশে খেলা সেখানকার নিয়ম মানতে হবে। খোলামেলা পোশাকে স্টেডিয়ামে যাওয়া চলবে না। ক্লিভেজ দেখানো যাবে না, মিনি স্কার্ট পরা যাবে না। অন্যথায় জেলবন্দি হতে হবে। জরিমানাও হতে পারে।
জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কোনও ভাবেই মিনি স্কার্ট পরে মাঠে আসা যাবে না। কাঁধ, কনুই এবং পা ঢেকে আসতে হবে। আঁটসাঁট পোশাক পরা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা শুধু স্টেডিয়ামে নয়, সর্বত্র কার্যকর হবে। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে তিন মহিলা রেফারির ম্যাচ পরিচালনা ঘিরে যেন এক নতুন মাত্রা তৈরি হল। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।