পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ নয়াপল্টনেই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি। গত সোমবার দলটির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। সভায় পূর্ব ঘোষিত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণ-সমাবেশের স্থান নির্বাচন নিয়ে এই অবৈধ সরকারের দূরভিসন্ধিমূলক তৎপরতা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় পূর্বে ঘোষিত ১০ ডিসেম্বরের গণ-সমাবেশ নয়াপল্টনে অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত পূর্ণব্যক্ত করা হয়। সকল দূরভিসন্ধি, বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে রাজশাহী ও ঢাকায় গণ-সমাবেশকে সকল করার জন্য জনগণকে আহবান জানানো হয়।
জানা যায়, বিএনপি ঢাকা মোট্রোপলিটান পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে দেয়া চিঠিতে নয়াপল্টনের জন্য আবেদন করা হয়। তবে ডিএমপি থেকে ২৬ দফা শর্তে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত বিএনপি নেতারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করার বিষয়ে অনড় আছেন। তারা বলছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি সরকারের নতুন কোন কৌশল ও ফাঁদ। এছাড়া নয়াপল্টনে সমাবেশেই তারা স্বাচ্ছ¡ন্দ্য বোধ করেন।
স্থায়ী কমিটির ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সভায় বলা হয়, চলমান গণ-আন্দোলকে দমন করার লক্ষে অবৈধ সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে ব্যাপক হারে পুনরায় সাজানো গায়েবী নাশকতা ও বিষ্ফোরক মামলা দিচ্ছে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রতিদিন অসংখ্য নেতা-কর্মীদের বাড়ি-বড়ি তল্লাশী ও হয়রানী করছে। ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ৬ শতাধিক, মামলা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। একদিকে কোথাও বাধা দেওয়া হবে না বলেও নির্বিচারে আটক ও গ্রেফতার চালাচ্ছে পুলিশ। সভা এই ধরনের নিকৃষ্ট দমন নীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। সভায় অবিলম্বে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা বন্ধ করে, মামলা গুলো প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়। গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তির আহবান জানানো হয়। অন্যথায় উদ্ভুদ পরিস্থিতির সকল দায় এই অবৈধ সরকারকে বহণ করতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, গত একযুগে সীমাহীন দূর্নীতির শিকার দেশের রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাংকগুলোর অধিকাংশ ক্রমশ: দূর্বল হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি বেসরকারী ব্যাংকে চরম অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে কয়েকটি কাগুজে কোম্পানীকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের ঘটনা গণ-মাধ্যমে ফাঁস হওয়ায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিকল্পিত ভাবেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে নজীরবিহীন দূর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছে। অর্থনীতি চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।
এছাড়া সভায় সিলেট মহানগরের বিএনপি’র সাংগঠনিক ওয়ার্ড ২৭ থেকে ৪২টি ওয়ার্ড বর্ধিতকরনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের আওতায় গ্রেফতারকৃত মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, একই আইনে সাবেক রাজবাড়ির স্মৃতি বেগম এবং মুন্সিগঞ্জের সদস্য সচিব জনাব কামরুজ্জামান রতনসহ আটককৃত সকল নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।