এই কদিন আগেই বেলজিয়ামের বর্তমান প্রজন্মকে বলা ডাকা ‘গোল্ডেন জেনারেশন'। দলটির সমর্থকদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল ডি ব্রুইনা-লুকাকু-হ্যাজার্ডদের হাত ধরেই ঘরে আসবে সোনালি ট্রফি। বিগত কয়েকটি বিশ্বকাপে এটি না হলেও বেলজিয়াম কখনো সেমিফাইনাল কিংবা কোয়ার্টার ফাইনালের আগে বিদায় নেয়নি।
তবে কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ থেকেই বেলজিয়াম ছিল ছন্নছাড়া।প্রথম ম্যাচে কষ্টার্জিত জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচের দ্বারা মরক্কোর কাছে হেরে যায় বাজেভাবে।আজ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দলটি মাঠে নেমেছিল 'জয় না পেলে বিদায়' এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে।লুকাকু-হ্যাজার্ডরা অনেক চেষ্ঠা করেছিলেন,তবে ভাঙতে পারেনি ক্রোয়েশিয়ান রক্ষণ। একবার তো খালি গোল পেয়েও লুকাকু।শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি বেলজিয়াম।
গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।এর ফলে পর্ব থেকে বিদায় নিল আসরের অন্যতম ফেভারিট বেলজিয়াম।আর ড্র করে মরক্কোর সাথে গ্রুপে দ্বিতীয় হিসেবে নকআউটে যাচ্ছে গতবারের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করতে পারত বেলজিয়াম।ম্যাচের ১৫ তম মিনিটের মাথাউ ইয়ানিক কারাসকো ডি-বক্সে ক্রোয়েশিয়ার ক্রামারিচকে দৃষ্টিকটুভাবে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।তবে ভিএআর দেখার পর রেফারি মত পাল্টান,জানান আগেই অফসাইড ছিল ক্রোয়েশিয়ার এক খেলোয়াড়।স্বস্তি ফেরে বেলিজিয়াম শিবিরে।
প্রথমার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও বলার মত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোন দলই।প্রথমার্ধ গোলশূন্য সমতায় শেষ হলে চাপ বাড়ে বেলজিয়ামের উপর।
গোলের জন্য মরিয়া বেলজিয়াম কোচ বিরতির পর হাফফিট লুকাকুকে নামিয়ে দেন মাঠে।নেমেই এই তারকা ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেন।৪৯ তম মিনিটে ডি ব্রুইনার ক্রসে লুকাকুর হেড ঠেকান ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক।
একটু পরেই লুকা মদ্রিচের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দলকে ম্যাচে ঠিকিয়ে রাখেন থিবো কর্তোয়া।৬০ তম মিনিটে আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে সামনে চলে আসেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক। ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে যান লুকাকু।তার জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।হতাশা বাড়ে বেলজিয়ামের।
শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও গোল না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ড্রি ব্রুইনাদের। মেসেজ এলো লুকাকুর অঝোরে কান্নায় বলে দিচ্ছিল এই ক্ষত সহজে ভুলবার নয় বেলজিয়ামের।
৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মরক্কো শেষ ষোলোয় খেলবে ‘ই’ গ্রুপ রানার্স আপের বিপক্ষে। ক্রোয়েশিয়ার প্রতিপক্ষ একই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন।