নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চোটের জন্য দলে নেই সেরা তারকা সাদিও মানে। তবুও বিশ্বকাপে ছুটে চলেছে সেনেগাল। ইকুয়েডরকে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলোয়। এই আনন্দের সময়ে আলিয়ু সিসে সবার আগে স্মরণ করলেন মানেকে। জয়টি এই ফরোয়ার্ডকে উৎসর্গ করলেন সেনেগাল কোচ। গতপরশু রাতে আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জেতে সেনেগাল। আফ্রিকার দলটির হয়ে গোল দুটি করেন ইসমাইলা সার ও অধিনায়ক কালিদু কুলিবালি।
আসরের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না সেনেগালের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে যায় তারা নেদারল্যান্ডসের কাছে। পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে কাতারকে হারিয়ে তারা বাঁচিয়ে রাখে শেষ ষোলোয় আশা। ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। শেষ পর্যন্ত কাক্সিক্ষত জয় তুলে নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ওঠে তারা। বিশ্বকাপে লাতিন আমেরিকার দলের বিপক্ষে ৩২ বছরে জেতা প্রথম আফ্রিকান দল সেনেগাল। ১৯৯০ সালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ক্যামেরুনের জয়ের পর মাঝে জয়শূন্য পেরিয়ে গেছে যায় ২১ ম্যাচ।
সেনেগালের বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পেছনে বড় অবদান ছিল মানের। আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইয়ের প্লে-অফের ফিরতি লেগে মিশরকে হারিয়েই বিশ্বকাপের টিকেট পায় দলটি। সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। এখানে ৩-১ ব্যবধানে জয়ে দলের শেষ গোলটি করেন মানে।
বিশ্বকাপের আগে বুন্দেসলিগায় ওয়েডার ব্রিমেনের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলার সময় হাঁটুতে চোট পান মানে। শঙ্কা ছিল তার খেলা নিয়ে। তবুও প্রথমে তাকে বিশ্বকাপ দলে রাখে সেনেগাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ছিটকেই যান আসর শুরুর আগেই। ইকুয়েডরকে হারানোর পর মানের কথা সবার আগে মনে পড়ে সেনেগাল কোচ সিসের, ‘এই জয় আমি এমন একজন মানুষকে উৎসর্গ করতে চাই, যে দেশের জন্য অসাধারণ কাজ করছে, দুর্ভাগ্যবশত আজ এখানে নেই। সেই মানুষটি হলো সাদিও মানে।’
২০০২ সালে বিশ্বকাপ অভিষেকে সেনেগাল খেলেছিল কোয়ার্টার-ফাইনালে। আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে শেষ চারে খেলার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল তারা। কিন্তু তুরস্কের কাছে ১-০ গোলে হেরে স্বপ্ন ভাঙে তাদের। এবার সামনের পথে শেষ ষোলোয় ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপদের প্রতিপক্ষ ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। আগামী রোববার আল বাইত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এই লড়াই ঘিরে নিজের ভাবনাও জানান সেনেগাল কোচ সিসে, ‘এটা হবে নতুন একটি পর্যায়। আমরা জানি, নকআউট পর্বে খেলতে যাচ্ছি যেটা গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোর চেয়ে পুরোপুরিই আলাদা। সব দলই ভালো, বিশ্বের সেরা দলগুলোই এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আমাদের যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্য তৈরি থাকতে হবে। এটা বাঁচা-মরার ম্যাচ, এখানে কোনো দ্বিতীয় সুযোগ নেই। জিতলে সামনে এগিয়ে যাব, হারলে দেশে ফিরে যেতে হবে। তাই এই মুহূর্তের জন্য আমরা কেবল বিশ্রামে মনোনিবেশ করব এবং পরের ম্যাচের জন্য ফিট থাকব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।