নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম ম্যাচেই হেরে বসেছিল সেনেগাল। ওদিকে ইকুয়েডরের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। স্বাগতিক কাতারকে হারিয়ে পরের ম্যাচে দাপিয়ে বেড়িয়েছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সেদিন এক পয়েন্ট পেয়ে হতাশ নেদারল্যান্ডস নয়, ইকুয়েডরই হয়েছিল। অন্যদিকে ২০ বছর পর নকআউট পর্বে যেতে সেনেগালের জয়ের বিকল্প ছিল না। খালিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে সেই কাজটি শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছে সাদিও মানেবিহীন সেনেগাল। গতকাল রাতে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে চলে গেছে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা। ঠিক একই সময় হওয়া গ্রুপের আরেক ম্যাচে কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে নেদারল্যান্ডস।
আলিও সিসের সেনেগালের জয়ের বিকল্প ছিল না, আর ইকুয়েডরের জন্য ড্রটাই যথেষ্ট ছিল। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। একের পর এক আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না সেনেগাল। তবে গোল যে হবে, সে ইঙ্গিত ঠিকই মিলছিল। ৪২ মিনিটে ফলও মিলল। ইসমাইলা সারকে আটকাতে গিয়ে ফেলে দেন হিনকাপি। পেনাল্টির পর অতি পরিচিত হালকা তর্ক-বিতর্ক শেষে এগিয়ে এলেন সার। ৪৪ মিনিটে এগিয়ে গেল সেনেগাল। তবে বিরতির পরে ম্যাচে ফেরে ইকুয়েডরও। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে সেনেগালের জাল কাঁপিয়ে মোসেস সাইসেদো সমতায় ফেরান লাতিন আমেরিকার দলটিকে। এরপর গোলের জন্য মরিয়া ছিল সেনেগাল শিবির। কপাল খোলে ৭০ মিনিটে তাদের। দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা ও কাপ্তান কালিদু কুলিবালি। এরপর ম্যাচে সমতা আনতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে ইকুয়েডর। কিন্তু তারা ভাঙ্গতে পারেনি সেনেগালের রক্ষণ।
অন্যদিকে আল বায়েত স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছিল কাতার। এই ম্যাচ ঘিরে খুব বেশি আগ্রহ ছিল না আমজনতার। কাতার যদি ৩ গোলের ব্যবধানে জয় পেত এবং অন্য ম্যাচ ড্র হতো, তবে গোল ব্যবধানে বাদ পড়ে যেত নেদারল্যান্ডস। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে দুই দলের পারফরম্যান্স বলছিল, এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। কোডি গাকপোর ২৬ মিনিটের গোল ও ৪৯ মিনিটে ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের স্কোরলাইন দ্বিগুণ করাটা সমীকরণ সহজ করে দিয়েছে। হারলেও এই ম্যাচে কিছুটা লড়াই করেছে কাতার। পাঁচ শটের মধ্যে স্বাগতিকদের তিনটিই ছিল লক্ষ্যে। সেখানে ১৩ শটের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের চারটি শট ছিল লক্ষ্যে। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে সাত পয়েন্ট ডাচ শিবিরের। সেখানে দুই জয় ও এক হারে ছয় পয়েন্ট সেনেগালের। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কাতারকে হারিয়ে মিশন শুরু করা ইকুয়েডর বিদায় নিল চার পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তিন নম্বরে থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।