কাতারের লুসাইল লোসার স্টেডিয়ামে গতকাল পর্তুগাল মাঠে নেমেছিল উরুগুয়ের বিপক্ষে।পুরো ম্যাচে মাত্র তিনটি অন টার্গেট শট নিতে পেরেছে রোনালদোরা।যার মধ্যে দুটি পেয়েছে জালের দেখা।দুটিই এসেছে দলের এট্যাকিং মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজের পা থেকে।যদিও প্রথম গোলের মালিকানা নিয়ে হয়েছে বিস্তর জলগোলা।সেই ব্যাখ্যায় পরে আসা যাক।২-০ ব্যবধানে পাওয়া এ জয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে ফের্নান্দ সান্তোসের দল।আর দুই ম্যাচে থেকে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে খাদের কিনারে সুয়ারেজর উরুগুয়ে।
ম্যাচের শুরু থেকে এদিন আক্রমণে বেশি জোর দিয়েছে রোনালদো-পেপেরা।শুরুতে রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল উরুগুয়ে।তবে চাপ সামলে তারাও যায় আক্রমণে। ৩২তম মিনিটে পর্তুগালের এক ডিফেন্ডারদেরকে ফাঁকি দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রদ্রিগো বেন্টাকুর।কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি টটেনহ্যাম হটস্পারের এই মিডফিল্ডার।আক্রমণে পজিশনে এগিয়ে থাকলেও বিরতির আগে জালের দেখা পায়নি রোনালদোরা।
বিরতির পর অবশ্য দ্রুতই গোলের দেখা পায় সান্তোসের দল।তবে ৫৪ মিনিটে আসা সেই গোলের মালিকানা নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশার।
বাঁ প্রান্ত থেকে ব্রুনো ফের্নান্দেসের দারুণ এক ক্রসে বল হাওয়ায় খানিকটা বাঁক বদল করে সরাসরি খুঁজে পায় জাল।তার আগে বলে হেডের দেওয়ার জন্য লাফ দিয়েছিলেন রোনালদো,তার বিশ্বাস ছিল তার মাথার ছুঁয়ে জালে জড়িয়েছেন বল।বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে করেন গোল উদযাপন।ফিফা প্রথমে গোলদাতা হিসেবে পর্তুগাল অধিনায়কের নাম জানালেও ব্যাপক বিশ্লেষণের পরে সিদ্ধান্ত পাল্টায়,গোলদাতা স্বীকৃতি পান ফের্নান্দেস।
পিছিয়ে পড়ে একসঙ্গে জোড়া পরিবর্তন করেন উরুগুয়ে কোচ; দারউইন নুনেস ও এদিনসন কাভানিকে তুলে মাক্সিমিলিয়ানো গোমেস ও লুইস সুয়ারেজকে নামান। আমার পর সুয়ারেজ বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন।তবে সফল হননি।উল্টো যোগ করা সময়ে আরেক গোল হজম করে ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। ডি-বক্সে ডিফেন্ডার হোসে হিমেনেসের হ্যান্ডবল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি। বিতর্কিত সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি উরুগুয়ে।রেফারির সাথে বেশ কিছু মুহূর্ত করেছে বিফল বাদানুবাদ।স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফের্নান্দেস। শেষ দিকে গোল পোস্ট বাধ না সাধলে ইউনাইটেডের এই তারকা মিডফিল্ডার পেতে পারতেন হ্যাট্রিকও।
'এইচ' গ্রুপে পর্তুগাল যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে সেটি প্রায় নিশ্চিত। দ্বিতীয় দল হয়ে পরের ধাপে যাওয়ার লড়াইয়ে আছে বাকি তিন দল। শেষ রাউন্ডে উরুগুয়ের শুধু ঘানার বিপক্ষে জিতলেই হবে না, প্রার্থনা করতে হবে যেন অন্য ম্যাচের ফলাফল পক্ষে আসে।