নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পরশু সন্ধ্যায় বড় অঘটন ঘটায় কোস্টারিকা। হারিয়ে দেয় এশিয়ার পরাশক্তি জাপানকে। এই জাপানিরাই প্রথম ম্যাচে হারিয়েছিল চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে। আবারও পূর্বের আলোনায় ফেরা যাক। কেইলর নাভাসের কোস্টারিকার কাছে জাপানের পরাজয়টা নয়্যার-মুলারদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। কারণ তখনই তারা নিশ্চিত হয় ‘ই’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে ড্র করলেও চলবে তাদের। শেষ ম্যাচে কোস্টারিকার বিওপক্ষে জিতে শেষ ষোলতে যাওয়ার একটা সমীকরণ এখনও খোলা আছে। পরশু রাতে আল বাইত স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত এক ম্যাচে স্পেনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে জার্মানি। দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট হলেও, এখনও জার্মানদের পরের রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন বেঁচে আছে।
দুই দলের হয়ে দুই বদলি স্ট্রাইকারই উদ্ধার করেছেন দুই পরাশক্তিকে। স্পেনের হয়ে আলভারো মোরাতা, জার্মানির হয়ে নিকোলাস ফালক্রুগ। অবশ্য গুরুত্ব বিবেচনায় ৮৩ মিনিটে করা ফালক্রুগের গোলের মূল্যটাই বহুগুণে বেশি। ওয়েরডার ব্রেমেনের এই ২৯ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের গোলেই ড্র করতে পেরেছে জার্মানরা, অথচ দেশের হয়ে এটি ছিল তার চতুর্থ ম্যাচ।
স্পেনের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে একাধিক বদল করেন জার্মানির কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। কাই হাভার্টজকে বেঞ্চে রেখে মুলারকে নাম্বার নাইনের জায়গায় খেলান তিনি। শুরু থেকেই অতি আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে স্পেন। তাদের খেলায় পাসের ফুলঝুরি দেখা যায়। পাল্টা আক্রমণ শানাতে থাকে জার্মানিও। এক বার গোল করার কাছাকাছিও পৌঁছে যান গোরেৎজকা। তবে ভিএআরে দেখা যায় সেটি অফসাইড ছিল।
খেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্পেনের আক্রমণ অল্প হলেও থিতিয়ে যায়। দুই দল পায়ে বেশি বল রাখার চেষ্টা করতে থাকে। পাস খেলে উপরের দিকে ওঠার চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। জার্মানি ভরসা রেখেছিল প্রতি আক্রমণের উপরেই। মাঝে এক বার সুযোগ পেয়েছিল তারা। স্পেনের ভুল ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে বক্সের ভেতর থেকে শট মারেন জিনাব্রি। গোলের বাইরে দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। নয়্যারের ভুল ক্লিয়ারেন্স থেকে সুযোগ পায় স্পেনও। কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের ৪০ মিনিটের মাথায় কিমিখের ফ্রিকিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেছিলেন রুডিগার। উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করছিলেন। কিন্তু রেফারি জানিয়ে দেন, তিনি অফসাইড। এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয় জার্মানিরও।
বিরতির পর মনে করা হয়েছিল জার্মানির কোচ খেলোয়াড় বদল করবেন। কিন্তু তা হয়নি। স্পেনও অপরিবর্তিত দল নামায়। মুলার স্ট্রাইকার হিসাবে থাকলেও প্রথমার্ধে একটাও ভাল সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। যত বার বল পেয়েছেন স্পেনের রক্ষণের কাছে তার প্রচেষ্টা আটকে গিয়েছে। ৫৫ মিনিটের মাথায় হঠাৎ জার্মানি আক্রমণ করে। স্পেনের রক্ষণের ভুলে বক্সে উঠে এসেছিলেন জার্মানির ফুটবলাররা। জোশুয়া কিমিখের জোরালো শট বাঁচান উনাই সিমন। এর পরেই এনরিকে দলে বদল করেন। আক্রমণে তোরেস কার্যকরী হতে পারছেন না দেখে তাঁকে তুলে নিয়ে মোরাতাকে বক্স স্ট্রাইকার হিসাবে নামান তিনি। সেই মোরাতাই গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন ৬২ মিনিটে। জার্মানির রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করেন তিনি। জর্ডি আলবার ক্রস থেকে চলতি বলে পা ঠেকিয়ে গোল করেন মোরাতা।
স্পেন গোল করার পরেই খেলাটা অনেক বেশি জীবন্ত হয়ে ওঠে। প্রথমে দিশেহারা দেখালেও গোল হজম করার পর মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে জার্মানি। মাঝে এক বার গোলকিপারকে একা পেয়েও অকারণে জোরে শট মারতে গিয়ে তারই গায়ে মারলেন মুসিয়ালা। সুবর্ণ সুযোগ হারায় জার্মানি। সেই মুসিয়ালাই সমতা ফেরানোর গোল এনে দিলেন একার কৃতিত্বে। যেভাবে জার্মানি শেষ দিকে আক্রমণ করছিল তাতে গোল কোনও না কোনও সময়েই আসতই। সেটাই হল। ৮৩ মিনিটের মাথায় একার কৃতিত্বে স্পেনের ডিফেন্সকে ঘোল খাইয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকে পড়েন মুসিয়ালা। তার থেকে বল পেয়ে গোল করেন ফুলক্রুগ। পরে আরও কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল জার্মানি। কিন্তু স্পেনের ডিফেন্ডারদের তৎপরতায় গোল হয়নি।
সব চোখ এখন গ্রুপের শেষ ম্যাচ দুটির দিকে, যখন স্পেন লড়বে জাপানের বিপক্ষে, আর ২০০৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ মনে করিয়ে দেওয়া এক লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে জার্মানি ও কোস্টারিকা। পরের রাউন্ডে ওঠার জন্য জাপানের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পেলেই চলবে স্পেনের। চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘ই’র শীর্ষে স্পেন, তিন পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে জাপান ও কোস্টারিকা, এক পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।