নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আফ্রিকান দেশগুলোর বিশ্বকাপ ফুটবলে ভালো রেজাল্ট করাটা বেশ আগ থেকেই। তবে তা কোনোভাবেই দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ্ডি পেরুতে পারছিল না।
১৯৯০ সালে ক্যামেরুন একে একে আর্জেন্টিনা, রোমানিয়া ও কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। এরপর ২০০২ সালে সেনেগাল এবং ২০১০ সালে ঘানা পৌঁছে যায় শেষ আটে। এই দেশগুলোর মধ্যে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স বা ওআইসির সদস্য ক্যামেরুন ও সেনেগাল। ১৯ শতাংশ মুসলিমের দেশ ঘানা এই তালিকার বাইরে। তবে তিন দেশের কোনোটিই আরব দেশ নয়। কারণ তিন দেশের কোনোটিতেই প্রধান ভাষা আরবি নয়। যেমনটা মিসর, আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া ও মরক্কোতে আছে। অবশ্য আরবির সাথে ফ্রেঞ্চ ভাষাতেও তাদের কথা বলা। যা ফরাসীদের দখলে থাকার সময় থেকে শুরু হয়েছে।
মূলত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলোই আরব বিশ্বের অংশ। আরব ভরুভূমির দেশ কাতার। এই কাতার বিশ্বকাপে চলছে আরব বিল্পবও। একের পর এক সাফল্য পাচ্ছে আরব ও মুসলিম দেশগুলো।
কাতার বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন আরব ভূমির প্রধান দেশ সৌদি আরবের। তাদের কাছে ১-২ গোলে হার আর্জেন্টিনার। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ইউরোপের দল বেলজিয়ামের বিপক্ষে পশ্চিম আফ্রিকান দেশ মরক্কোর জয়। কাল রাতে তাদের ২-০ গোলে জয় গতবারের সেমিফাইনালিস্টদের বিপক্ষে। এছাড়া সেনেগাল ৩-১ গোলে অপর মুসলিম দেশ কাতারকে, ইরান ২-০ গোলে ওয়েলসকে হারায়। তিউনিশয়া গোলশূন্য ড্র করে ডেনমার্কের সাথে। মরক্কো প্রথম ম্যাচে গোলশূন্যতে রুখে দেয় গত বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক ক্রোয়েশিয়াকে।
অবশ্য মরোক্কানরা ছাড়া আর কোনো মুসলিম ও আরব দেশ দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে অপরাজিত থাকতে পারেনি। ইরানতো প্রথম ম্যাচেই ২-৬ গোলে ইংলান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়। তিউনিশিয়া দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ০-১ গোলে হারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। সৌদি আরবের ০-২ গোলে হার পোল্যান্ডের কাছে। হারে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করে সেনেগাল। তাদের ০-২ গোলে হার ছিল নেদারল্যান্ডসের কাছে। ক্যামেরুন প্রথম ম্যাচে মাথা নত করে মাঠ ছাড়ে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। স্কোর ০-১।
বিশ্বকাপ ফুটবলে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল তুরস্কের। ২০০২ জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল। শেষ চারের ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে ০-১ গোলে হারের পর স্থান নির্ধারনী ম্যাচে কোরিয়ানদের হারিয়ে তৃতীয় হয়। অবশ্য এরপর আর এই গ্রেট আসরে কোয়ালিফাই করতে পারেনি। এবার তারা পর্তুগালের কাছে প্লে-অফে হারে। মরক্কো ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল পর্তুগালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এবং ইংল্যান্ড ও পোল্যান্ডের সাথে গোলশূন্যতে ড্র করে। এরপর শেষ ১৬ এর ম্যাচে পশ্চিম জার্মানের কাছে ০-১ গোলে হার।
সৌদি আরব ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে বেলজিয়াম ( ১-০) এবং মরক্কোকে (২-১) হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পায়। নক আউটে তাদের বিদায়টা সুইডেনের কাছে ১-৩ গোলে হেরে।
আরব বিশ্বের আরেক পশ্চিম আফ্রিকান দেশ আলজেরিয়া ২০১৪ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে জার্মানের কাছে হেরে ছিটকে পড়েছিল। আফ্রিকান মুসলিম দেশ নাইজেরিয়া ১৯৯৪, ১৯৯৮ , ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায় নেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।