নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অলিভিয়েরা জিরো থিয়েরি অরির রেকর্ড ভাঙ্গে ফেলবেন, এমন আশা নিয়েই ম্যাচ দেখতো বসেছিলেন লক্ষ-কোটি ফুটবলপ্রেমী এবং ফ্রান্সের সমর্থকেরা। তবে ডেনমার্ক যেভাবে রক্ষণ সামলালো তাতে জিরু খুব একটা সুবিধে করে উঠতে পারলেন না। তাহলে ফরাসিদের উপায়? আছে তো একজন। কিলিয়ান এমবাপ্পে! এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলে স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ গতরাতে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে দিদিয়ে দেশমের দল। তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। টানা দুই জয়ে প্রথম দল হিসেবে শেষ ষোলোতে উঠে গেল ফ্রান্স। আজকের গোলেগুলো নিয়ে এই বিশ্বকাপে এমবাপ্পের গোল হলো তিনটি। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে ৭ গোল তার। পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে নেমে মেসির গোলসংখ্যাও তাই। বয়স ২৫ হওয়ার আগে বিশ্বকাপে ৭ গোল শুধু একজনই করতে পেরেছেন, কিংবদন্তি পেলে। রাশিয়া বিশ্বকাপে ফাইনালে বয়স ১৯ পেরোনোর আগে গোল করে পেলের রেকর্ডে ভাগ বসানোর পর, এবার ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির ৭ গোলের রেকর্ডটাও ছুঁয়ে ফেললেন এমবাপ্পে।
শুরু থেকে দুই দলই সময় নিচ্ছিল। তবে এমবাপ্পে-দেম্বেলি জুটি দুই উইং ব্যবহার করে ফ্রান্সকে আক্রমণে রেখেছিল কম-বেশি। অন্য দিকে ডেনমার্ক চাইছিল লম্বা বলে আক্রমণে যেতে। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় থিও হার্নান্দেসে বাড়ানো বলে জিরো গোল করতে ব্যর্থ হন। মিনিট নয়েক বাদে গ্রিজম্যান-এম্বাপ্পে জুটির আক্রমণ শেষ হয় ফাউলের মাধ্যমে। এভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধে।
বিরতির পর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা ডেনিশরা। তবে মিনিট ৫০তম মিনিটেই মাথায় বল নিয়ে ডেনমার্কের বক্সে গিয়ে এমবাপ্পে বল বাড়ান ডেম্বেলেকে। তবে দেনিশ কিপার শ্মেলজার ঠেকিয়ে দেন সেটি। এখনও গোলের মুখ খুলতে পারেনি ফ্রান্স। মিনিট ছয়েক পরে নিজের গতি ব্যবহার করে প্রায় ৪০ গজ দৌড়ে ডেনমাকের ফুটবলারদের পিছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে।তবে এবারও গোল করতে পারেননি তিনি। বার বার আক্রমণ করছিল ফ্রান্স। কিন্তু কাজের কাজটাই করতে পারছিলেন না এমবাপেরা। গোল করার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন গ্রিজম্যান। বক্সের বাইরে বুকে রিসিভ করে বল নামিয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ তিনি। কিন্তু তার পরের মুহূর্তেই গোল করে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ৬০ মিনিটের মাথায় বাঁ দিকে থেকে এমবাপেকে পাস দেন হের্নান্দেস। পাল্টা তাঁকে পাস বাড়ান এমবাপ্পে। এই দুইজনের বোঝাপড়া দেখে মনে হচ্ছিল, প্লে স্টেশনে গেম চলছে। একদম নিখুঁত মাপ। গোল লাইন থেকে বক্সে বল রাখেন হের্নান্দেস। চলতি বলে ডান পায়ের মাটিতে ড্রপ দেওয়া শট দেনিশ ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ানসেনের গায়ে লেগে হালকা দিক বদলে চলে যায় জালে।
গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ডেনমার্ক। তার ফলও মেলে। কর্নার থেকে সতীর্থের ব্যাক হেড থেকে হেডে গোল করলেন ক্রিস্টিয়েনসেন। প্রথম গোলে নিজের যে লঘু ভুল ছিল তার গুরু প্রায়শ্চিত্তকরলেন গোল দিয়ে। ফরাসি কাপ্তান ও কিপার লরিসের কিছুই করার ছিল না। পাঁচ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যেতে পারত ডেনমার্ক। বক্সের মধ্যে ভাল জায়গায় বল পান ড্যামসগার্ড। তার ডান পায়ের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বার করে দেন লরিস। নইলে চাপে পড়ে যেত ফ্রান্স।
গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ফ্রান্স। বক্সের মধ্যে সাইড ভলি থেকে গোল করার চেষ্টা করেন হাইবিয়ার। ভাল মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু বার উঁচিয়ে বল চলে যায়। এসবের মধ্যে যখন মনে হচ্ছিল দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে তখন, ৮৭ মিনিটের মাথায় আবার গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। বক্সের বাইরে থেকে গ্রিজম্যানের ক্রসে, শরীরের টোকায় গোল করেন এমবাপ্পে। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ডেনমার্ক। হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।