নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ম্যাচের ৮২তম মিনিটের খেলা চলছে। নিজেদের বক্সের সামনে সাউদী ডিফেন্ডার আল-মালকির একটি ভুল করে বসলেন। মূলত তার পেছনে ঘাপটি মেরে থাকা বিশ্ব ফুটবলের মারাত্মক স্ট্রাইকারদের একজনকে দেখতে পাননি মালিক। ছোবল মেরে বল নিয়ে গোলকিপারকে ধোঁকা দিয়ে বাঁ পায়ে জালে জড়িয়ে দিলেন রবার্ট লেভান্দোভস্কি। অবশেষে এই বিশেষ মুহূর্ত আসলো লেভান্দোভস্কির জীবনে। অবশেষে বিশ্বকাপে গোল করতে পারলেন তিনি। জাতীয় দলে ২০০৮ সালে অভিষেক হলেও ২০১০ ও ২০১৪ আসরে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি পোল্যান্ড। রাশিয়াতে শেষবার গোলশূন্য ছিলেন লেভান্দোভস্কি। কাতারে প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগও হারিয়েছিলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। অবশেষে গতরাতে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে সাউদী আরবের বিপক্ষে সেই কাক্সিক্ষত গোলটি পেলেন বর্তমান সমইয়ের সেরা স্ট্রাইকার। পোল্যান্ড এই ম্যাচটি ২-০ ব্যবধানে জেতে, দলের হয়ে অপর গোলটি করেন পিওতর জেলিনস্কি। দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলর স্বপ্ন এখনো জিইয়ে রেখে পোলিশরা।
আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে এ বারের বিশ্বকাপের প্রথম অঘটন ঘটিয়েছিল সাউদী। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেটা করতে পারল না তারা। গোটা ম্যাচে কেবল লড়াই করল হার্ভ রেনার্ডের দল। গোলের অনেক সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারলেন না মরুভূমির ফ্যালকনরা। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলছিল গ্রীনরা। তাদের আটকাতে শুরু থেকে কিছুটা শারীরীক ফুটবল খেলতে বাধ্য হয় পোল্যান্ড। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই তাদের তিন ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখেন। ধীরে ধীরে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে পোল্যান্ড। অবশেষে ৪০ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণ থেকে প্রথম গোল করে পোল্যান্ড। আক্রমণ শুরু হয় দলের গোলরক্ষক সেজিনির পা থেকে। তার কাছ থেকে বল পান ম্যাটি ক্যাশ। তিনি বল বাড়ান লেভান্দোভস্কিকে। লেওয়া গোল করতে না পারলেও বক্সের মধ্যে থাকা জিয়েলিনস্কির দিকে বল দেন। ডান পায়ের শটে গোল করেন জিয়েলিনস্কি।
বিরতির আগেই সমতা ফেরাতে পারত সৌদি। দলের স্ট্রাইকার আল শেহরিকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন বিয়েলিক। ভার প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। আল দাওশারির দুর্বল শট বাঁচিয়ে দেন সেজিনি। ফিরতি বলে গোল করার সুযোগ ছিল মহম্মদ আরব্রিকের কাছে। তার শটও বাঁচান পোলিশ কিপার। ফলে পিছিয়েই বিরতিতে যায় সৌদি আরব। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে সাউদী। তার ফলে মাঝেমধ্যেই গোলের কাছে পৌঁছে যাচ্ছিল তারা। কিন্তু দিনটা তাদের ছিল না। শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন সৌদির ফুটবলাররা। তার ফলে প্রতিআক্রমণ থেকে সুযোগ পাচ্ছিল পোল্যান্ড।
৮২ মিনিটের মাথায় আল-মালকির সেই ভুলে ও লেভান্দোভস্কির গোল। তার পরেও গোল শোধ করার চেষ্টা করে সাউদী। কিন্তু পারেনি তারা। প্রথম ম্যাচ জেতায় সাউদীর সামনে এখনো খোলা আছে নক-আউটে খেলার সুযোগ। অন্যদিকে ৪ পয়েন্ট পাওয়া পোলিশরা শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে মরণ কামড় বসানোর জন্য প্রস্তুত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।