দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি। ডেনমার্কের সাথে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি ড্র করেছে তিউনিসিয়া।আর ফ্রান্সের বিপক্ষে তো ৪-১ গোলে বিধ্বস্তই হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।তাই আজ আল জানোয়াব স্টেডিয়ামে ডি গ্রুপের এই মুখোমুখি লড়াইটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের কাছে।জিতলে ঠিকে থাকা যাবে বিশ্বকাপে,বিপদ বাড়বে হারলে। এমন সমীকরণে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি এসেছে সকারুরা।তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ঘাম ঝরানো ১-০ গোলের জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখল গ্রাহাম আর্নল্ডের দল।
এদিন দুই দলই ম্যাচ শুরু করেছে কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে। ম্যাচের প্রথম শটটি আসে ২১ মিনিটের মাথায়।বক্সের বাইরের থেকে অস্ট্রেলিয়ার তারকা ফুটবলার ড্রাগারের নেওয়া শট লক্ষচ্যুত হয়। তবে দুই মিনিট পরেই লিড নেয় আর্নল্ডের শিষ্যরা।বা প্রান্ত ধরে গুডউইনের বাড়ানো ক্রসে মাথা লাগিয়ে তিউনিসিয়ার জালে বল জড়ান মিশেল ডিউক।
লিড নেওয়ার পরেও ম্যাচে চলতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য। প্রথমার্ধে সকারুদের জমাট রক্ষণভাগকে খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি আরব দেশ তিউনিসিয়া।নিতে পারেনি একটিও অন টার্গেট শট।তবে বিরতির পর তারা অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরে। করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণাত্মক মনোভাবও তাদের আগ্রাসী হতে সহায়তা করে। তবে বাকি সময়টাতে অন্তত অর্ধ ডজন শট নিয়েও সমতাসূচক গোলের দেখা আর পায়নি তিউনিসিয়া।
দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে বি গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে উঠে এসেছে সকারুরা। এই জয়ে ২০০৬ সালের পর বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখলো অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে জয় পেলে তো কথাই নেই, ড্র করেও হয়তো চলে যেতে পারবে শেষ ষোলোতে।