মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার সরকার রিজার্ভে থাকা মার্কিন ডলারের পরিবর্তে সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল কেনার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাউমিয়া। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেছেন।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। বিপরীতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের রিজার্ভ ক্রমশ কমছে। এর ফলে ঘানার স্থানীয় মুদ্রা সিডি দুর্বল হয়ে পড়ছে। বেড়ে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়। ঘানার সরকার বলেছে, দেশের সংকটাপন্ন এ পরিস্থিতিতে ডলার সংকট মোকাবিলায় সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
ঘানার সরকারি তথ্য মতে, গত বছরের শেষ পর্যন্ত ডলারের রিজার্ভ ছিল ৯৭০ কোটি ডলার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা নেমে এসেছে ৬৬০ কোটি ডলারে। এই পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসেরও কম আমদানি চাহিদা মেটানো সম্ভব।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাউমিয়া বলেছেন, ‘২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের পরিকল্পনা (সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল কেনা) বাস্তবায়িত হলে আমাদের অর্থনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আসবে। আমাদের স্থানীয় মুদ্রার ক্রমাগত অবমূল্যায়নও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।’
মাহামুদু বাউমিয়া আরও বলেছেন, সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল কিনলে মুদ্রা বিনিময় হারের প্রভাব জ্বালানি বিলের ওপর পড়বে না। কারণ, তেল বা অন্যান্য পণ্য আমদানি করতে বিক্রেতাদের তখন বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে না। সোনা দিয়ে তেল কেনার পরিকল্পনা বিনিময় ব্যবস্থার কাঠামোতে পরিবর্তন আনবে।
আল-জাজিরা লিখেছে, ঘানার পরিকল্পনাটি অস্বাভাবিক। অনেক দেশ মাঝে মাঝে তেলের বিনিময়ে অন্যান্য পণ্য বা সেবা কেনে বটে, তবে তেল উৎপাদক দেশগুলোকেই তেল ব্যতিরেকে অন্য পণ্য ক্রয়ে এমন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়, তেল আমদানিকারক দেশকে নয়।
ঘানা অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে ২০১৭ সালে একটি বিস্ফোরণে দেশটির একমাত্র তেল শোধনাগারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তেল আমদানি নির্ভর হয়ে পড়ে ঘানা।
বাউমিয়ার ঘোষণাটি পোস্ট করা হয়েছিল যখন অর্থমন্ত্রী কেন ওফোরি-আত্তা একটি স্পাইলিং ঋণ সংকট মোকাবিলায় ব্যয় হ্রাস এবং রাজস্ব বাড়ানোর ব্যবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।
কয়েক দিন আগে ঘানার অর্থমন্ত্রী কেন ওফোরি-আত্তা বলেছিলেন, ঋণ সংকট মোকাবিলায় ব্যয় কমানো ও রাজস্ব বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এরই মধ্যে রিজার্ভের ডলারের বদলে সোনা দিয়ে তেল কেনার পরিকল্পনার কথা জানালেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদু বাউমিয়া।
গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে ২০২৩ সালের বাজেট উপস্থাপন করেছেন ওফোরি-আত্তা। বাজেট বক্তৃতায় তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ঘানা ঋণ সংকটের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঘানার সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে একটি ত্রাণ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করছে। কোকো, সোনা এবং তেল উৎপাদনকারী দেশটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সূত্র : আল-জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।