পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর কি হবে? এ সরকার ১০ তারিখের আগেও যেতে পারে পরেও যেতে পারে। আসল কথা হচ্ছে এ সরকার থাকতে পারবে না। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে মানুষ আর কোনো কিছু প্রত্যাশা করে না। এটাই হচ্ছে এদেশের বর্তমান বাস্তবতা। আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে "দেশনায়ক তারেক রহমান এর ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ" শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, আওয়ামী লীগ লড়াই করছে কার বিরুদ্ধে? অনেকটা ছায়ার বিরুদ্ধে। তবে তিনি হলেন তারেক রহমান। যার নাম শুনলে আওয়ামী লীগ মাঝ রাতে ভয়ে ঘুম থেকে উঠে। বাংলাদেশকে উলটপালট করে দেওয়ার ক্ষমতা ইতিমধ্যে তারেক রহমান দেখিয়েছে ভবিষ্যতে আরো কি হবে এটা আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে। এত অত্যাচার নির্যাতন মিথ্যা অপবাদ, নির্মমভাবে অপপ্রচার করার কারণেও তিনি এত শক্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে এরকম নেতা শুধু বাংলাদেশে নাই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও এরকম রাজনৈতিক নেতা পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়াকে যেখানে থাকার কথা ছিল সেখানে নাই। অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকার কথা ছিল। যদি এখনই সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বিএনপি যে জয়লাভ করবে সেটা ৭০ নির্বাচনের চেয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। পাকিস্তান আমলে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করলেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেয় নাই পাকিস্তানের সেই স্বৈরাচার সরকারের চেয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আরো ভয়ঙ্কর। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার যোগ্যতায় এদের নাই।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, যাদের রাষ্ট্র ক্ষমতা থাকার কথা তারা এখন জেলে, না হলে নিখোঁজ। আর যাদের জেলে থাকার কথা তারা এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়।
সরকারের উদ্দেশ্যে দুদু বলেন, আপনাদের কাছে আমরা কোনো প্রত্যাশা করিনা। তবে একটা কাজ করেন। সেই কাজটা করলে আপনার দলের সম্মান থাকবে দেশের মানুষের সম্মান থাকবে। কাজ একটাই এ সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে দেশের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সব দায়ভার আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। পদত্যাগ করেন নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করেন, এর বাইরে আপনাদের আর কোন কাজ নাই। যদি এর বাইরে যান। বিএনপিকে ছোট মনে করেন। বিএনপিকে ছোট মনে করার কোনো কারণ নেই। বিএনপির সাথে দেশবাসী আছে। দেশবাসী নেমে পড়েছে। বিএনপির কাছে দেশবাসীর প্রত্যাশা তারেক রহমান দেশে ফিরে আসে এবং বেগম খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হয় তাহলে সম্মানের সাথে বাঁচা যাবে। তাছাড়া বাঁচার কোনো পথ নাই।
কৃষক দলের সাবেক এই আহবায়ক বলেন, আওয়ামী লীগের দ্বারা ৭ জন শহীদ হয়েছে। যে জাতি গণতন্ত্রের জন্য বুকের রক্ত দেওয়া শুরু করে সেই জাতিকে কখনো দাবিয়ে রাখা যায় না। আপনারা দেশবাসী ও বিএনপিকে আর দাবিয়ে রাখতে পারবেন না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক ড. মোঃ লুৎফর রহমান, ড. মোঃ এমতাজ হোসেন, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, সাইফুর রহমান মিহির, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, প্রকৌশলী রুহুল আলম, মোঃ রবিউল ইসলাম, সহিদুল হক সহিদ, প্রকৌশলী শরিফুজ্জামান খান, নুরুন্নবী খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।