নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপ বলে কথা। প্রতি চার বছরে আসে একবার। এই বিশ্বকাপ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ থাকে না। এত উন্মাদনার মাঝেও কোচদের রেহায় থাকে না। দলকে কীভাবে ভালো স্থানে নিয়ে যাওয়া যায় সবসময় এই চিন্তায় মগ্ন থাকেন। জাতীয় দলের কোচদের সারা বছর ব্যস্ততা থাকে না। তবে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশার চাপ হয়তো তারাই বহন করেন। সেজন্য তাদের পারিশ্রমিকটাও সেভাবেই গুণতে হয়। তাই তাদেরকে সেভাবেই সম্মাননা প্রদান করেন দেশগুলো। সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ১০ কোচ হলেন—
হ্যান্সি ফ্লিক (জার্মানি)
বেতন: ৬৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার
কাতার বিশ্বকাপের ৩২ কোচের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতন জার্মানির হ্যান্সি ফ্লিকের। ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে ছিলেন জার্মানির সহকারী কোচ।
গ্যারেথ সাউথগেট (ইংল্যান্ড)
বেতন: ৫৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার
সাউথগেট ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ডাগআউটে আছেন ২০১৬ সাল থেকে। বেতন পাচ্ছেন বিশ্বকাপে থাকা কোচদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল এবং ২০২০ ইউরোর ফাইনাল খেলাই সাউথগেটের দলের সেরা সাফল্য।
দিদিয়ের দেশম (ফ্রান্স)
বেতন: ৩৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার
এরই মধ্যে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন দেশম। কাতারে আছেন টানা দ্বিতীয় শিরোপাজয়ের আশায়।
তিতে (ব্রাজিল)
বেতন: ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার
২০১৪ বিশ্বকাপে বেদনাদায়ক বিদায়ের পর ব্রাজিলের দায়িত্ব নেন তিতে। ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে।
তাতা মার্তিনো (মেক্সিকো)
বেতন: ২৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার
আর্জেন্টিনা আর বার্সেলোনার মতো দলকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে মার্তিনোর। ২০১৯ সালে মেক্সিকোর দায়িত্ব নেওয়া এই আর্জেন্টাইনের সামনে গ্রুপ পর্বে নিজ দেশ আর্জেন্টিনাও আছে।
লুই ফন গাল (নেদারল্যান্ডস)
বেতন: ২৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার
কোচ হিসেবে লুই ফন গালের অভিজ্ঞতা প্রচুর। ২০১৪ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া নেদারল্যান্ডসের দায়িত্বে ছিলেন ৭১ বছর বয়সী এই কোচ।
লিওনেল স্কালোনি (আর্জেন্টিনা)
বেতন: ২৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার
কোচ হিসেবে অভিজ্ঞতা বেশি দিনের নয়। বড় কোনো দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব আর্জেন্টিনাকে দিয়েই শুরু। এরই মধ্যে ২০২১ কোপা আমেরিকা জিতেছেন তিনি।
ফেলিক্স সানচেজ (কাতার)
বেতন: ২৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার
কাতার গত কয়েক বছর ফুটবল দলের পেছনে প্রচুর টাকা ঢেলেছে। যার মধ্যে আছে কোচের বেতনের খাতও। তিনি জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন ২০১৭ সালে।
ফার্নান্দো সান্তোস (পর্তুগাল)
বেতন: ২২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার
পর্তুগালের সবচেয়ে সফল কোচ তিনি। ২০১৬ সালে তার অধীনে ইউরো জিতেছে পর্তুগাল। ২০১৪ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন টানা ৮ বছর ধরে।
মুরাত ইয়াকিন (সুইজারল্যান্ড)
বেতন: ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার
বয়স ৪৮ বছর, তবে এর মধ্যে কোচিং ক্যারিয়ার ১৬ বছরের। গত ইউরোর পর সুইজারল্যান্ডের দায়িত্ব নেন ইয়াকিন।
একটি পুরো দেশের স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব থাকে তাদের উপর। বিপুল প্রত্যাশার চাপ সামলে কাজ করতে হয় তাদের। সেই সম্মানের জায়গাটাতেই স্থান দেয়া হয় কোচদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।