নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের বাইরে একদল শিশু নানা স্বাদের ঘরোয়া খাবারের পসরা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাতারে আসা ফুটবলপ্রেমীদের জন্য আতিথেয়তার এই পসরা সাজিয়েছে তারা। আরবের বিভিন্ন স্বাদের খাবার তারা ফুটবলপ্রেমীদের আতিথেয়তায় বিলিয়ে দিচ্ছে। এ জন্য কোনও অর্থ নিচ্ছে না। কেবল কাতারিদের আতিথেয়তায় দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করার জন্য এই আয়োজন তাদের।
খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের বাইরে এমনই কয়েকজন শিশুকে পাওয়া গেল। আলী, রাওদা, মুনিরা ও আলী নামের এই চার শিশু প্রত্যেক ফুটবলপ্রেমীকে খাবারের স্বাদ গ্রহণের প্রস্তাব দিচ্ছে। অনেকেই তাদের এমন আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে খাবার গ্রহণ করছে।
তারা খাবারের যে পসরা নিয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে রয়েছে আরবের সুস্বাদু খাবার লুগাইমাৎ, ওগাইলি কাপকেক এবং আরবি কফি।
ওই চার শিশুর একজনের মা লুলুয়া আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম আমাদের সন্তানরা এমন কিছু করুক যাতে তারা নিজেদেরকে বিশ্বকাপের অংশ মনে করে। তাই আমরা তাদের এখানে নিয়ে আসার এবং বিশ্বকে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা তাদের খোলা হৃদয়ে স্বাগত জানাই।’
শিশুদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জাপানি একটি পরিবার থমকে দাঁড়ায়। তারা শিশুদের পসরা থেকে সুস্বাদু খাবার তুলে নিজেদের মুখে দেয়। আনন্দে আত্মহারা শিশুদের সঙ্গে ছবিও তোলে তারা।
তবে তাদের মাঝে সবচেয়ে ভালো সময়টা কাটিয়েছে আলী নামের ছোট্ট শিশুটি। কারণ যখন অন্যরা কথাবার্তায় ব্যস্ত তখন মিনি কাপ কেক খাওয়ার সুযোগ একবারের জন্যও হাতছাড়া করছে না সে।
ফুটবলপ্রেমীরা তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় থামছে, তাদের সঙ্গে গল্প করছে, হালকা খেয়েও নিচ্ছে, সঙ্গে ছবিও তুলছে। তাদের এমন উদ্যোগ বিশ্বকে জানিয়ে দিচ্ছে কাতারিদের আতিথেয়তায় মুগ্ধতা ছড়ানোর গল্প।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।