এ যেন জায়ান্ট বধের বিশ্বকাপ! গতকাল আর্জেন্টিনার পর আজ অঘটনের শিকার হয়েছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।ম্যাচের সিংহভাগ সময়ে এগিয়ে থাকা হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা তালগোল পাকিয়ে ফেলে শেষে এসে।৭৫ থেকে ৮৩ -এই আট মিনিটের ব্যবধানে হজম করে বসে দুই গোল। আর তাতেই ইতিহাস লিখল এশিয়ান জায়ান্ট জাপান।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জাপান ২-১ ব্যবাধানে হারিয়েছে জার্মানিকে।
এশিয়ার টিমগুলো জার্মানি জন্য যেন দুঃস্বপ্নের অপর নাম। গত বিশ্বকাপে সাউথ কোরিয়ার কাছে ২-১ গোলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় মুলার-নুয়াররা।আর এবার জাপানের কাছে অপ্রত্যাশিত হারে ফের একবার নকআউটের আগেই ছিটকে পড়ার শঙ্কা উঁকি দিচ্ছে জার্মানদের সামনে।
অথচ এ ম্যাচের বেশিরভাগ সময় জার্মানরা ছিল ম্যাচের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। একের পর এক আক্রমণে মুলার-গ্যানেব্রিরা দিশেহারা করে রেখেছিল জাপান রক্ষণভাগকে।পরিসংখ্যান যে সবসময় সত্যি কথ বলেনা,আজকের ম্যাচ তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।৭৭ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে আর প্রতিপক্ষের গোল পোস্ট ২৬ বার শট নিয়েও হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দলকে।
আর্জেন্টিনার মত জার্মানিও আজ ম্যাচের শুরুতেই লিড নেয়। কাকতালীয়ভাবে তাদের গোলটিও এসেছে পেনাল্টি থেকেই।ম্যাচের ৩৩ তম মিনিটে ইকাই গুন্ডোয়ান স্পট কিক থেকে লক্ষভেদ করলে এগিয়ে যায় জার্মানি।লিড নিয়ে জার্মানি খেলার গতি বাড়ায়।
পুরো প্রথমার্ধ এবং বিরতির পর প্রথম ৩০ মিনিট জাপানের গোলরক্ষক শুইচি গোন্ডার দুর্দান্ত কিছু সেভ না করলে অন্তত এক হালি গোল পেতে পারতো জার্মানি। সেটি হয়নি। উল্টো খেলা শেষ দিকে জার্মানির উপর ঝড় বইয়ে দেয় জাপান।৭৬ তম মিনিটে কারোকু মিতোমার পাস থেকে বল পেয়ে শট নেন তাকুমি মিনামিনো।সেই শট নয়্যার দারুণ দক্ষাতায় ঠেকালেও হাতে জমাতে পারেননি। তার হাতে লেগে ফিরে আসা বল ফাঁকা জায়গায় পেয়ে যান রিতসু দোয়ান। লক্ষ্যভেদে কোনো ভুল করেননি তিনি।
প্রথম গোলটি খেয়ে জার্মানরা একরকম এলোমেলো হয়ে যায়। আর সেই সুযোগ ফের কাজে লাগায় জাপান। নির্ধারিত সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে বদলি হিসেবে নামা তাকুমা আসান গোল করে স্তব্ধ করে দেন জার্মানিকে। অতিরিক্ত হিসেবে যোগ হওয়া ১০ মিনিটে মরিয়া চেষ্টা করেও আর সমতায় ফিরতে পারেনি চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথম সপ্তাহেই কাতার বিশ্বকাপ জমে ক্ষীর!