মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত শনিবার অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়ার ১৫তম সাধারণ নির্বাচনে কোনও দল বা জোট সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এরপর রাজনৈতিক দলগুলো সরকার গঠনে নিজেদের মধ্যে সমঝোতায়ও ব্যর্থ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ে হস্তক্ষেপ করতে চলেছেন রাজা আল-সুলতান আবদুল্লাহ। রাজা জানিয়েছেন, শিগগিরই নিজের পছন্দ ও যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন তিনি।
তবে এই সিদ্ধান্তের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা উল্লেখ করেননি রাজা আবদুল্লাহ। ন্যাশনাল প্যালেসের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে তিনি কেবল বলেন, ‘আমাকে দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দিন।’ সরকার গঠনের ব্যাপারে যে কোনও সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বানও জানিয়েছেন রাজা।
মালয়েশিয়ায় এবারের নির্বাচনের আগে থেকে জনমত জরিপে আনোয়ার এগিয়ে থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিনের জোটের অভাবনীয় ফলও অনেককে চমকে দিয়েছে। কিন্তু কেনও দলই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
মালয়েশিয়ার ২২২ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ১১২টি আসন। আনোয়ারের দল পায় ৮২টি আসন। আর মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের পারিকাতান ন্যাশনাল পায় ৭৩টি আসন।
গত রোববার ছোট দু’টি দলের সমর্থন পাওয়ায় পারিকাতান ন্যাশনাল জোটের আসন সংখ্যা ১০১ হয়েছে বলে জানানো হলেও তা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে কম। এই অচলাবস্থা ভাঙতে রাজা আবদুল্লাহ দু’টি দলকে একসঙ্গে একটি ‘ঐক্য সরকার’ গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
কিন্তু দল দুটি সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। মুহিউদ্দিন বলেছেন, তিনি আনোয়ারের সঙ্গে কাজ করবেন না। মুহিউদ্দিন মালয় মুসলিম কনজারভেশন অ্যালায়েন্স পরিচালনা করেন। অন্যদিকে, আনোয়ার পরিচালনা করেন বহু-জাতিক কোয়ালিশন।
রাজা আবদুল্লাহ শেষ সুযোগ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোকে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে এই সময়ের মধ্যে দলগুলোকে জোট গঠন করে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বারিসান ন্যাশনাল কোয়ালিশন সরকার গঠনে অপর দুই জোটের একটিকেও সমর্থন দেবে না বলে জানায়। ফলে এখন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে সাংবিধানিক রাজাকে। সংবিধানেই রয়েছে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো সরকার গঠনে ব্যর্থ হয় তখন রাজা এতে হস্তক্ষেপ করবেন।
মালয়শিয়ায় রাজার ভূমিকা মূলত অলঙ্কারিক হলেও তিনি কাউকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করলে তাকে নিয়োগ করতে পারেন। রাজা আবদুল্লাহ এরই মধ্যে আনোয়ার এবংমুহিউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং বারিসান ন্যাশনালের আইনপ্রণেতাদেরকে বুধবার বৈঠক করার জন্য ডেকেছেন।
আনোয়ার সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, রাজা সবার অংশগ্রহণ ভিত্তিক একটি বলিষ্ঠ সরকার গঠনের আকাঙ্খা প্রকাশ করেছেন, যে সরকারের লক্ষ্য থাকবে অর্থনীতির দিকে মনোনিবেশ করা। আনোয়ার এবং মুহিদ্দিন দুইজনই দাবি করেছেন সরকার গঠন করার মতো পর্যাপ্ত সমর্থন তাদের আছে। ১৯৫৭ সালে স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো মালয়েশিয়ায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।