Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বে পুরুষের শুক্রাণুর হার অর্ধেকের বেশি কমেছে : গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২২, ১০:২৯ এএম

বিশ্বজুড়ে পুরুষের শুক্রাণুর হার অর্ধেকের বেশি কমেছে। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সাময়িকীতে। সেখানেই একদল গবেষক বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তাঁরা বলেছেন, পুরুষের শুক্রাণুর হার কমা রোধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া না হলে মানবজাতি সন্তান জন্মদানে সংকটে পড়তে পারে। গবেষণা বলছে যেভাবে সন্তান জন্মদানে অক্ষম পুরুষের দ্রুত বাড়ছে তাতে দ্রুত কমবে বিশ্বের জনসংখ্যা।

‘হিউম্যান রিপ্রোডাকশন আপডেট’ নামে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকীতে গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। নিজেদের শুক্রাণু উৎপাদনক্ষমতার বিষয়টি নিয়ে সচেতন ছিলেন না, এমন ১৫৩ জন পুরুষের শুক্রাণু নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৭৩ সালের ২০১৮ সালে শুক্রাণুর ঘনত্ব গড়ে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে (৪৫ বছর) শুক্রাণুর হার কমেছে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ।

২০১৭ সালে এই গবেষকেরাই শুক্রাণুর হার নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন। ওই গবেষণায় দেখা যায়, গত চার দশকে পুরুষের শুক্রাণুর হার কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তথ্য–উপাত্ত না থাকায় ওই গবেষণাটির ফল শুধু ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর ভিত্তি করে তৈরি বলে সেবার সমালোচিত হয়েছিল।

তবে এবার গবেষকেরা ৫৩টি দেশের পুরুষদের শুক্রাণু নিয়ে গবেষণা করেছেন। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর পুরুষদের শুক্রাণু কমার বিষয়টি এবার উঠে এসেছে।

১৯৭২ সাল থেকে সব মহাদেশ থেকে সংগৃহীত তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই সময়ে শুক্রাণু উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার হার বেড়ে চলেছে। গবেষকেরা দেখতে পেয়েছেন প্রতিবছর পুরুষের শুক্রাণুর হার কমেছে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ করে।

তবে এ শতাব্দীতে শুক্রাণুর হার কমছে বেশি। কারণ, ২০০০ সালের পরের তথ্য–উপাত্তে দেখা যায় যে এই সময়ে প্রতিবছর পুরুষের শুক্রাণুর হার গড়ে ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমেছে।

গবেষণা নিবন্ধটির অন্যতম লেখক জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাগাই লেভিন বলেন, ‘আমি মনে করি, বিশ্ব যে ভুল পথে আছে, তার আরও একটি ইঙ্গিত এই গবেষণা। আমাদের এটা নিয়ে কিছু করতে হবে। এটা একটা সংকট। চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে এখনই এই সংকট মোকাবিলায় আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।’

তবে এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এখানে পুরুষের বয়স, বীর্যপাত না হওয়ার সময়সীমা, শুক্রাণু উৎপাদনের ক্ষমতা কম থাকার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হলেও শুক্রাণুর মান যাচাইয়ের অন্য বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপান, মদ্যপান, স্থূলতা ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার না খাওয়ায় পুরুষের শুক্রাণুর হার কমতে পারে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুক্রাণুর উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।



 

Show all comments
  • Abdulhoquemiaji ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:৩৮ এএম says : 0
    ফ্রি মিক্সিং এর কারণে পুরুষ তার সক্ষমতা হারাচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গবেষণা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ